ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজার শহরে নির্বিচারে চলছেই পাহাড় কাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :

কক্সবাজার পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কাটা থেমে নেই। অত্যন্ত সুকৌশলে ঘেরাবেড়া দিয়ে রাতদিন চলছে এই নিধনযজ্ঞ। সম্প্রতি এমনই এক পাহাড় নিধনের ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গরুর হালদা এলাকায়। ওই এলাকার গাঁজা ইসলামের বসতবাড়ি সংলগ্ন বিশাল পাহাড় কেটে সাবাড় করেছে ভূমিদস্যুরা। গত তিনদিন পরপর সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গাঁজা ইসলামের বাড়ির পেছনের পাহাড় থেকে মাটি কেটে বস্তায় ভরে একাধিক ঠেলা গাড়িযোগে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই কাজে ৭-৮ জন শ্রমিক কাজ করছে।

 

এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গাঁজা ইসলামের পুত্র ইসমাঈল, আবদুর রহিম, সেলিম, মুসলিম ও তাদের মা ছিরুনি নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি ও ভিটি তৈরি করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসলামদের বসতবাড়ির ঠিক পেছনে পাহাড়ের অবস্থান হওয়ায় টিনের বেড়া ও গেইট দিয়ে রাতদিন নিরাপদে, সকলের অগোচরে পাহাড় কাটা চলে। এভাবে গত এক যুগে পাহাড় কেটে অন্তত দুই একর জমির ভিটা তৈরি করেছে পরিবারটি। ওই জমিতে তারা প্রায় ১৮-২০ টি বাসা নির্মাণ করে তা ভাড়ায় দিয়েছে। বর্তমানে এসব ভাড়া বাসা থেকে মাসে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা আয় হচ্ছে। এলাকার প্রবীণ লোকজন জানায়, পাহাড় কেটে তার মাটি বিক্রি করে পরিবারটি এ পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা ৬নং ওয়ার্ডের গরুর হালদা এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ, ভ্রাম্যমাণ আদালত অসংখ্যবার অভিযান চালিয়েছে। অভিযুক্ত গাঁজা ইসলাম পরিবারের একাধিক সদস্য আটক হয়ে কারাগারেও গিয়েছে একাধিকবার। তবুও তারা দমে যায়নি।

 

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের দাবি, যেখানেই পাহাড় কাটা চলছে সেখানেই তারা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ইসলাম পরিবারের নির্বিচারে পাহাড় কাটা ও পরিবেশ ধ্বংসের বিষয়েও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।