নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :
একাদশ জাতীয় সংসদের মোট ৩১ জন সংসদ সদস্য মারা গেছেন। কোনো সংসদের মেয়াদে এতসংখ্যক রানিং এমপি মৃত্যুবরণের ঘটনা ঘটেনি।সংসদ সদস্যদের মৃত্যুর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বার বার তুলেছেন। তিনি একাধিকবার সংসদে বলেছেন, প্রায় প্রতিটি অধিবেশনই আমাদের শুরু করতে হয়েছে শোকপ্রস্তাব গ্রহনের মধ্য দিয়ে।
এদিকে, মৃত্যুবরণকারী ৩১ জন সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৮টি আসনে উপনির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নিয়ে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে আগামী ৫ নভেম্বর এবং পটুয়াখালী–১ আসনে আগামী ২৭ নভেম্বর উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এই তিন আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একাদশ সংসদের সদস্য নির্বাচিত হলেও তারা কোনো অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন না।পৌনে ৫ বছর ধরে পরিচালিত একাদশ জাতীয় সংসদের মোট কার্যদিবস ছিল ২৭২ দিন। অধিবেশনের সংখ্যার এবার অধিবেশনের সংখ্যায় রেকর্ড হলেও কার্যদিবস তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম হয়েছে। কার্যদিবসের দিক থেকে সর্বোচ্চ রেকর্ড হচ্ছে নবম সংসদ। ওই সংসদের মোট কার্যদিবস ছিল ৪১৮ দিন। এছাড়া দশম সংসদ ৪১০ কার্যদিবস, ৭ম সংসদ ৩৮২ কার্যদিবস, ৫ম সংসদ ৪০০ কার্যদিবস চলেছে। সব চেয়ে কম ছিল ৬ষ্ঠ সংসদ। ওই সংসদ ছিল মাত্র ৪টি কার্যদিবস।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, অধিবেশনের সংখ্যা বেশি হয়েছে এবার কার্যদিবস কম হয়েছে কোভিডের কারণে। কোভিডের কারণে অনেকগুলো অধিবেশনই ছিল সংক্ষিপ্ত। যার কারণে কার্যদিবসের সংখ্যা কম হয়েছে।একাদশ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেওয়ার জন্য মোট প্রশ্ন পাওয়া যায় এক হাজার ৩৩৬টি। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী জবাব দিয়েছেন ৫৬৬টি প্রশ্নের। অন্যান্য মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্ন পাওয়া যায় ৩০ হাজার ৬৪১টি। এর মধ্যে মন্ত্রীরা জবাব দিয়েছেন ১৭ হাজার ৭৬২টি প্রশ্নের।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি সরকার গঠন করে। ৩০ জানুয়ারি বসে সংসদের প্রথম অধিবেশন। সেই হিসেবে সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।
সিএনএন বাংলা২৪