বিশেষ প্রতিনিধি :
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ৮৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
তিনি বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করে সফট ওপেনিং করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ৮৮ শতাংশ কাজ হয়েছে। এর মাঝে বৃষ্টি ছিল। তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে। ৭ অক্টোবর এটি উদ্বোধন হবে। সোমবার দুপুরে থার্ড টার্মিনালের নিচতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
মফিদুর রহমান বলেন, সফট ওপেনিংয়ের আগে আমাদের টার্মিনালের কাজ শেষ হয়েছে। লিফট, ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং, বোর্ডিং ব্রিজ বসে গেছে। এগুলো সফট ওপেনিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো। বাকি ১০ শতাংশ কাজ সফট ওপেনিংয়ের পর শুরু হবে। আপাতত আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বুঝে নেব। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরে আমরা টার্মিনালটি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে পারব।
এম মফিদুর রহমান বলেন, ১২৪১তম দিনে সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের আগে আমরা সফট ওপেনিং করতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কারণে সবকিছু সম্ভব হয়েছে। আমরা সব মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও তদারকি করা হয়েছে।
থার্ড টার্মিনাল আগামী বছরের অক্টোবর নাগাদ শতভাগ চালুর প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, জিনিসপত্রগুলোর ফাংশনাল কাজ শেষ করতে বছর লাগতে পারে। এ প্রজেক্টের সঙ্গে আমরা শুধু যুক্ত থাকিনি, আরও কিছু কাজ হয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন হলে যাত্রীরা ২০২৫ সালে এগুলোর সুবিধা পাবে। এজন্য আমাদের জাপানের অনুমতি নিতে হয়েছে। আগামী বছর ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু হবে। এখন আপাতত ১২টি চালু হবে। বাকিগুলো আগামী বছর।
এত বড় স্থাপনা হচ্ছে ভাড়া বাড়বে কি-না-এমন প্রশ্নে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ভাড়া বাড়বে না, কমবে। আমাদের এখন জায়গা কম, কম এয়ারলাইন্স আসার কারণে ভাড়া বেশি। আর এটাকে নির্বাচনের সাথে তুলনা করতে চাই না। তবে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। সরকার এটা ভোটের জন্য করেনি। সবকিছু যাত্রীসেবা ও মান উন্নয়নের জন্য করা হয়েছে।
আগামী বছর চালু হলে কেমন জনবল লাগবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ২০২৪ সালে চালু হলে আমরা আড়াই হাজারের একটা জনবলের অনুমোদন পেয়েছিলাম। আরও কিছু অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে ফাইল গেছে। তাছাড়া এটার নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে থাকবে না।
এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান জানান, থার্ড টার্মিনাল দুই লেয়ারে সুপারভিশন করা হবে। জাপানের কোম্পানিও করবে। ডাবল সুপার ভিশনে আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে পারবে বেবিচক। এই টার্মিনাল চালু হলে এটি হবে এভিয়েশন হাব। আর এটির স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর। যে লাউঞ্জ ও কাউন্টারগুলো হচ্ছে, কোনো যাত্রী বিমানে ওঠা ও নামার পর তার লাগেজ বেল্টে যাবে। অটো স্ক্যানিং হয়ে লাগেজ এয়ারক্রাফটে চলে যাবে বলেও জানান বেবিচক চেয়ারম্যান।