নিজস্ব প্রতিনিধি, ইতালি :
বাংলাদেশ দূতাবাস এবং রোমে অবস্থিত গুলিয়েমো মার্কনি (Guglielmo Marcony) গ্রন্থাগারের যৌথ উদ্যোগে গ্রন্থাগারে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) “বাংলাদেশ কর্ণার” এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
বিদেশী অতিথি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যে “বাংলাদেশ কর্ণার” যৌথভাবে উদ্বোধন করেন ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান এবং মার্কনি গ্রন্থাগারের পরিচালক মিজ্ কিয়ারা পমা (Chiara Poma)। ইতালির লুমসা (Lumsa) বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সংস্কৃতির অধ্যাপক ফ্রান্সেস্কো যানিনি (Francesco Zannini), বাংলাদেশী-ইতালিয়ান লেখিকা এবং সাপিয়েঞ্জা (Sapienza) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টাল স্টাডিস এর প্রাক্তন অধ্যাপক নিমান সোবহান, ইতালি-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশনের পরিচালক, এশিয়া বিষয়ক ইতালিয়ান থিংকট্যাংক ISIA (Italian Institute for Asia) এর মহাসচিব ডমিনিকো পালমিয়েরি (Domenico Palmieri) এবং ইতালিয়ান ফটোসাংবাদিক স্টিফানো রোমানো (Stepano Romano) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান বিপুল বাংলাদেশিদের কর্মস্থল রোমের একটি স্বনামধন্য গ্রন্থাগার গুলিয়েমো মার্কনিতে “বাংলাদেশ কর্ণার” স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরে লাইব্রেরির পরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে উপহার হিসেবে প্রদত্ত ৭০ টি বইয়ের মধ্যে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী (বাংলা ও ইতালিয় ভাষায় অনূদিত), বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর বিভিন্ন প্রকাশনা, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বাংলা ভাষায় বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা বিষয়ক প্রকাশনা এবং ইতালিয় ভাষায় রচিত এবং অনূদিত বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার উপর প্রকাশনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অভিযাত্রা বিষয়ক কয়েকটি প্রকাশনাও স্থান পায় গ্যালারীতে। রাষ্ট্রদূত ভাষা শহীদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির সবাইকে বই পড়া, বাংলা ভাষা চর্চা এবং জ্ঞানার্জন করতে আহবান জানান।
অন্যান্য বক্তারা দূতাবাসের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ কর্ণার” বন্ধুত্বপূর্ণ দুদেশের মানুষের মধ্যে বন্ধন দৃঢ়তর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত এবং গ্রন্থাগারের পরিচালক যৌথভাবে অন্যান্য অতিথিদের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে বাংলাদেশ কর্ণারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, প্রবাসী সাংবাদিক, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, ইতালিয়ান পাঠক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাসের উদ্যোগটি চলমান জনকূটনীতি (Public Diplomacy) কার্যক্রমের একটি অংশ।