এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে সৌদি আরব তার ইতিবাচক অবস্থান অব্যাহত রাখবে।
শুক্রবার সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনের পর এই মন্তব্য করেছেন তিনি। আরব লীগের এই সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারহান বিন ফয়সাল বলেছেন, সৌদি আরব ও এই অঞ্চলের অন্যান্য সব দেশ একইরকম নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখবে। তারা যুদ্ধরত উভয়পক্ষের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করবে।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কিছু আরব দেশ রাশিয়ার দখলদারিত্বের প্রতি অন্ধ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। যদিও তিনি কোনো আরব দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
গত বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়। তবে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ মধ্যপ্রাচ্যের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোকে রাশিয়াকে ‘একঘরে’ করতে সহায়তা করার জন্য চাপপ্রয়োগ করে। তবে এতে সাড়া দেয়নি তারা।
অবশ্য যুদ্ধ শুরুর পর তেলের দাম কমে গেলে রাশিয়ার ইঙ্গিতে সৌদি আরবসহ ওপেক+ জোটভুক্ত দেশগুলো তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সৌদি আরব। এমন সমালোচনার মধ্যে দেশটি ইউক্রেনকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়।
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতায় কাজ করেন। তার হস্তক্ষেপে গত বছর রাশিয়া তাদের কাছে থাকা ১০ বিদেশি যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেয়।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশ হওয়ায়, যুদ্ধের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ দেশে পরিণত হয় সৌদি।
এইচ এম কাদের সি এনএন বাংলা ২৪