ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফিলিস্তিনের ১ হাজার হজযাত্রীর ব্যয় বহনের ঘোষণা সৌদি বাদশাহর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,ডেস্কঃ

বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলাজিজ আল সৌদ

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের ১ হাজার হজযাত্রীর হজের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে সৌদি সরকার। এই তালিকায় অগ্রাধিকার পাবেন সেই সব হজযাত্রীরা— যাদের পরিবার থেকে অন্তত একজন সদস্য ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত/আহত বা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে বন্দি আছেন।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রপ্রধান ও বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলাজিজ আল সৌদ শনিবার এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।

 

রোববার সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. শেখ আব্দুললতিফ বিন আব্দুলাজিজ আল শেখ এসপিএকে বলেন, বাদশাহ সালমানের এই উদারতা একদিকে যেমন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনগণের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের গভীরতা আরও একবার প্রমাণ করল; তেমনি স্বাধীনতার জন্য ফিলিস্তিনের জনগণের বিপুল ত্যাগকেও স্বীকৃতি দিল।

 

মন্ত্রী জানান, এই এক হাজার হজযাত্রীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ফিলিস্তিনিদের সৌদি আসার খরচ থেকে শুরু করে হজের যাবতীয় ব্যয় বহন করবে সৌদি সরকার। তালিকা প্রণয়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং পশ্চিম তীর ও গাজা— উভয় ভূখণ্ড থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে এই তালিকায় স্থান দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ড. শেখ আব্দুললতিফ বিন আব্দুলাজিজ আল শেখ।

মোহাম্মদ আল জান্নাতি এই তালিকায় স্থান পাওয়া একজন ফিলিস্তিনি হজযাত্রী। আমিরাতভিত্তিক দৈনিক গালফ নিউজকে তিনি জানান, হজ করার জন্য গত ১৭ বছর ধরে চেষ্টা করছেন তিনি; কিন্তু অর্থসংকটের কারণে এতদিন যেতে পারেননি মক্কায়।

‘আল্লাহকে ধন্যবাদ, যিনি আমাদের ভাগ্যে এই দান বরাদ্দ করেছেন। আমাদের সার্বিক যা পরিস্থিতি, তাতে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনির নিজের অর্থে হজ করার মতো সামর্থ্য নেই। তাই সৌদি নেতৃত্বের এই বদান্যতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের প্রতি সহমর্মী হওয়ার জন্য সৌদির জনগণকেও আন্তরিক ধন্যবাদ,’ গালফ নিউজকে বলেন মোহাম্মদ আল জান্নাতি।

ইসলামের ৫টি মূলস্তম্ভের একটি হলো হজ। এই ধর্মের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ বা আবশ্যিক।

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: