ইয়াছমিন মুন্নী, কক্সবাজার:
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ডলফিন মোড়ের অদূরে ‘সী গাজীপুর রিসোর্ট’ থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হোটেলের খাতায় নিহত তরুণীর নাম জেসমিন আক্তার (২৫) এবং পিতার নাম জামাল রাজিব চৌধুরী বলে লিপিবদ্ধ রয়েছে। এছাড়া নিহতের বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা এলাকায় বলে উল্লেখ রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে নিহত তরুণীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে হোটেলের ম্যানেজার আজিজুর রহমান পলাতক রয়েছেন। তিনি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের মৃত ছাবের আহমদের ছেলে। এছাড়া হোটেলের সিকিউরিটি গার্ড, একই এলাকার মোঃ ফোরকান আহমদ ওরফে ডিপজলও আত্মগোপন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হোটেলের ২০২ নাম্বার কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই তরণীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মিজানুর রহমান ও সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হোটেলটির ভাড়াটিয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবব্দুল জাব্বার জানান, সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আসরের নামাজ পড়তে যাই। এসময় সিকিউরিটি গার্ড ফোরকান আহমদ ডিপজল তার পূর্ব পরিচিত ওই তরণীকে নাম এন্ট্রি করে ২০২ নাম্বার রুম ভাড়া দেন। পরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমের ভেতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে তরণী আত্মহত্যা করেছে বলে জানান ম্যানেজার আজিজুর রহমান। এসময় ম্যানেজার ও সিকিউরিটি ফোরকান আহমদ ডিপজলকে ঘটনাস্থল হোটেলে অবস্থান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে আমরা মালিকপক্ষ উপস্থিত হওয়ার পূর্বেই ফোরকান আহমদ ও আজিজুর রহমান পালিয়ে যায়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত করা হবে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।