আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া:
চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেছেন, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমেই আলোকিত মানুষ গড়া সম্ভব। সকল প্রকার অপশক্তিকে প্রতিহত করার অন্যতম উপায় হলো সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা। তাই সকল প্রকার অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই। তিনি বিদেশি সংস্কৃতির নির্ভরতা নয়, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সভ্যতা ও সংস্কৃতি লালন তথা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধে নতুন প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি গত রবিবার পটিয়া সম্মিলিত শিল্পী পরিষদ’র উদ্যোগে আয়োজিত “প্রতিভার খোঁজে” স্বর্ণপদক প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
পটিয়া সম্মিলিত শিল্পী পরিষদের সভাপতি শিল্পী অনুপম বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও শিল্পী মনি পুরোহিত ও শিল্পী শিবু মল্লিকের সঞ্চালনায় এতে উদ্বোধক ছিলেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা, নাট্যজন ও ফ্যাশন জিজাইনার নাসরিন সরওয়ার মেঘলা। শুভেচছা বক্তব্য রাখেন, খলিলুর রহমান (ডিগ্রী) মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অভিজিৎ বড়ুয়া মানু, বিশিষ্ট নাট্যজন ও দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ছৈয়দ, স্বর্ণপদক প্রতিযোগিতার আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব শিল্পী নয়ন দে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন পটিয়া সম্মিলিত শিল্পী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী সমীর ধর অপু। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী অনুপম বড়য়া, প্রমোদ দাশ, কনক বড়য়া, অগ্নিলা শর্মা দিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, সুধীর আচার্য্য ও ত্রপা গুহ।
প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে ৯৬ জন। এদের মধ্যে দুইজন প্রতিযোগী নৃত্য বিষয়ে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হয়। তারা হলেো, ‘খ’ বিভাগে গোপিকা দাশ ও ‘গ’ বিভাগে অর্চি দাশ ঐশী। প্রসংগত, বিগত পহেলা সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার, মহেশখালী, পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা ও বোয়ালখালী থেকে প্রায় ১২শ’ প্রতিযোগী সংগীত, নৃত্য, তবলা,চিত্রাংকন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এবারের এ প্রতিযোগিতা পটিয়ার ঝিমিয়ে পড়া সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রাণের সঞ্চার করবে বলে এতে
সমবেত নবীন শিল্পী ও অভিভাবকরা অভিমত প্রকাশ করেন। তারা এ ধরণের আরো মৌলিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহবান জানান।