ই-পেপার | শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মৌলভীবাজারে দেড় হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশী বিপাকে

সালেহ আহমদ (স’লিপক):

মৌলভীবাজারে সব প্রক্রিয়া শেষ করেও দেড় হাজার গ্রাহক তাদের কাঙ্খিত ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন না। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে লাইসেন্স না পেয়ে শতশত আবেদনকারী বিদেশ যাওয়াসহ নানা কাজে মারাত্মক রকমের সংকটে পড়েছেন।

তবে বিআরটিএ দাবি, লাইসেন্স ছাঁপানোর কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতার কারণে লাইসেন্সগুলো আটকে আছে। সারাদেশে কয়েক লক্ষ আবেদনকারীর লাইসেন্স আটকে রয়েছে বলেও জানানো হয়।

মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিস সূত্র জানায়, প্রায় ৫ মাস ধরে প্রত্যেক আবেদনকারীকেই স্মার্ট ড্রাইভিং কার্ড প্রদানে বেগ পেতে হচ্ছে। এখনও দেড় হাজার আবেদনকারী ড্রাইভিং লাইসেন্স পাননি। ২০১৬ সাল থেকে সারাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড প্রদানের উদ্যোগ নেয় সরকার। যেকোনো আবেদনকারী লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা পাস করে এই লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারছেন। যাদের আগের লাইসেন্স রয়েছে, তারা আবেদন এবং নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে স্মার্ট লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারছেন।

সরকার বিদেশি (ভারতীয়) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স (এমএসপি) নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাঁপানোর কাজ প্রদান করে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্স ছাঁপানো এবং সরবরাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ে তারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে করে আটকা পড়েছে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স।

একাধিক আবেদনকারীরা বলছেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড ছাড়া সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায় না। বেসরকারি চাকরিতে অনেক ক্ষেত্রেই ভোগান্তি হয়। বিদেশে যানবাহনের চালক হিসেবে কাজের খোঁজে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই কার্ড প্রয়োজন হয়।

মৌলভীবাজার বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স কার্ড সরবরাহ দিলেই তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে প্রদান করা হবে। এখানে বিআরটি’র কিছু করার নেই।

তিনি বলেন, শুধু মৌলভীবাজার নয় সারাদেশে কয়েক লক্ষ আবেদনকারীর লাইসেন্স আটকে রয়েছে। গ্রাহক চাইলে নিজেরাই অনলাইন থেকে নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করে নিতে পারবেন বলে তিনি জানান।