ই-পেপার | সোমবার , ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ময়মনসিংহ থেকে বিদায় নিলেন এসিল্যান্ড ইবনে মিজান

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ময়মনসিংহ:

বিদায় কথাটি বেদনা বিধুর, নয়নে অশ্রু ঝরা, মন চাহেনাতো দিতে যে বিদায়, হৃদয়ে বেদনা ভরা, বিদায়ী সানাই বাজিতেছে দ্বারে, মানবেনা সেতো বাঁধা,মায়ার বাঁধনে বাঁধিয়া রাখিতে, বৃথাই অশ্রু সাধা।

 

একজন সরকারি কর্মকর্তার বদলীতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে যে ইতিবাচক অলোচনা শুরু হয়েছে তা সচরাচর অনেকের ক্ষেত্রে ঘটেনি। সাধারণ মানুষের মাঝে তার এ জনপ্রিয়তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে।

 

আজকে যে মানুষটার বিদায়ে এতো আলোচনা তিনি হলেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সদ্য বিদায়ী সহকারী কমিশনার(ভূমি) এইচএম ইবনে মিজান।

 

তিনি বিগত ২০২১ সালের আগে সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে যোগদান করেন। দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জনগণের অভিযোগের শেষ নেই। তবে তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম এই কর্মকর্তা। যোগদানের পর নিজের সরকারি দপ্তরকে করে তুলেছেন জনবান্ধব এক প্রতিষ্ঠান। যেখানে ভূমি অফিস মানেই ভোগান্তি, টাকার ছড়াছড়ি; সাধারণ মানুষের হয়রানি আর অসহায়তার অভিযোগ। সেখানে ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতামূলক ও ঘুষবিহীন সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করে জনগণের আস্থা ও প্রিয় মানুষ হয়ে ওঠেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবনে মিজান।

 

তার যোগদানের পর থেকেই বদলাতে থাকে ভূমি অফিসের দৃশ্যপট। সেবা প্রত্যাশীরা যেনো দালালের কারণে হয়রানির শিকার না হন এজন্য নিজের কক্ষে জনসাধরণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করেন। যেকোনো প্রয়োজনে সরাসরি তার কাছে যেতে শুরু করেন সেবা প্রত্যাশীরা। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবারের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ প্রকল্পে কঠোর নজরদারিতে প্রকৃত ভূমিহীন পরিবারগুলোর মধ্যে খাস জমি বন্দোবস্ত ব্যবস্থা করেছেন।

 

অফিস সময়সূচি সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থাকলে তিনি রাত পর্যন্ত অফিসের কাজ করতেন। ময়মনসিংহ সদর উপজেলাতে জনগনের সেবা দিতে দিনরাত কাজ করে গিয়েছেন। বিশেষ করে সদর উপজেলার সরকারি খাস জমি উদ্ধার, মিসকেস, নামজারি, জমাভাগ খারিজ সংক্রান্ত মামলা শুনানির মাধ্যমে খুব কম সময়ে সমস্যা নিষ্পত্তি, ভূমি নিয়ে স্থানীয় বিরোধের অবসান, স্বচ্ছতার সঙ্গে ভূমিসেবা প্রদান, সহজীকরণ, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ভেজালবিরোধীসহ – সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪