আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া
দক্ষিণ চট্রগ্রামের পটিয়ার নতুন থানা হাটে পাঁঠার বাজার জমে উঠেছে। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাঁঠা বিক্রেতারা বড় বড় পাঁঠা বিক্রয় করার জন্য গত ১ সপ্তাহ ধরে মজুদ করেছেন। এতে একেকটি ৩০-৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা দামের পাঠা পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার থানা হাট পাঠার বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচেপড়া ভিড় ছিল। এতে প্রচুর পাঁঠা ছাগল বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার বিকালে থানা হাট পাঠার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মনসা পূজা উপলক্ষে পাঁঠার হাট ঘিরে ছিল উৎসবের আমেজ। ৮০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি দামের পাঁঠা ছাগল বিকিকিনি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়- পাবনা, ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, রংপুর, খুলনা দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ছাগল ব্যবসায়ীরা পাঁঠা ছাগল নিয়ে হাটে জড়ো হয়েছেন। একজন বিক্রেতার হাতে ৮-১০টি ছাগল, ক্রেতারা দর কষাকষি করছে। কেউ কেউ দরদামে না হওয়ায় ফিরে যাচ্ছেন।
তবে হাটে গিয়ে দেখা যায়, রাউজান নোয়াপড়া থেকে আসা ক্রেতা সুবাস দত্ত নামে এক ক্রেতা একটি বড় মাপের পাঠাসহ বাজার থেকে বেরিয়ে আসছেন। তিনি চক্রশালার অজয় দাশ থেকে পাঠাটি কিনেছেন ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে। হেমন্ত হ্যাচারীর মালিক এটি লালন পালন করেন এবং এর দাম ৪ লাখ টাকা হাঁকান বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, পটিয়ায় দেশের সেরা ও বড় মাপের পাঁঠা পাওয়া যায়। যে কারণে আমরা বহু বছর আগে থেকে এখান থেকে পাঠা নিতে আসি।স্বপন দে নামের এক ক্রেতা ২৮ হাজার টাকা দামে একটি পাঁঠা ছাগল কিনে বাজার থেকে বের হওয়ার সময় বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার দাম একটু বেশি। তবুও নিজের পছন্দের একটি পাঁঠা কিনেছি।
দিলীপ চৌধুরী নামে এক যুবক পাঁঠা ছাগল কিনতে এসে বাজার ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পছন্দ হওয়া স্বত্ত্বেও দামে না হওয়ায় কিনতে পারিনি। এ হাট থেকে কিনতে না পারলে অন্য হাট থেকে কিনব। চন্দনাইশ থেকে আসা পাঁঠা বিক্রেতা সন্জয় নামে এক ক্রেতা বলেন, আমি ৫০টি ছাগল নিয়ে হাটে এসেছি। ২৫ টি ছাগল বিক্রি করেছি।
মো: দেলোয়ার নামে এক নামে বিক্রতা এসেছেন ঠাকুরগাঁও থেকে, তিনি একেকটা পাঠা এনেছেন ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা দামের। তিনি বলেন আমি বিক্রির জন্য ৫ টি বড় সাইজের পাঠা নিয়ে এসেছি।আশা করি সব বিক্রয় করতে পারবো। তিনি নিজেই এ রাম পাঠা জাতের ছাগল গুলো লালন পালন করে বড় করেছেন বলে জানান।
পটিয়ার ধলঘাটের সুজিত দাশ নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, আমি ও আমার পরিবার তিন-চার বছর পরিশ্রম করে দুটি পাঁঠা বিক্রয়ের উপযোগী করে তুলি। গৃহপালিত দুটি ছাগল নিয়ে এসেছি, একটি বিক্রি করেছি। আরো একটি ছাগল বিক্রি করার বাকি। আশাবাদী এটি ও বিক্রয় হয়ে যাবে।
পটিয়া নতুন থানা হাটের ইজারাদারদের পক্ষে আবদুল জব্বার, নুরুল ইসলাম ও মো: ঈসমাইল জানান,শুক্রবার নতুন থানা হাটের পাঠার বাজারে প্রচুর পাঁঠা ছাগল ক্রয় – বিক্রি হয়েছে। এখানে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ও ৪/৫ লাখ টাকা দামের অনেক ছাগল বিক্রি হয়েছে । এবার ১০ লাখ টাকা দামের ছাগল ও বাজারে এসেছে। আমাদের বাজার ১৭ আগষ্ট পর্যন্ত একটানা চলবে।