ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘পানি কমলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে

আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া

দক্ষিণ চট্রগ্রামে অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে চট্রগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১-এর আওতাধীন ৮ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ২ লক্ষ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন দিনাতিপাত করছে । এতে ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে এক প্রেস ব্রিফিং এ সিনিয়র জিএম দিলীপ চন্দ্র চৌধুরী তথ্য প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন বর্তমানে আটটি উপজেলার মধ্যে সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়া- এই তিনটি উপজেলা এবং পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১০ টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেংগে পড়েছে। তবে পানি কমে আসলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হবে বলে তিনি নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
বুধবার দুপুরে (৯ আগস্ট) বিদ্যুৎ সরবরাহ

ব্যবস্থা নিয়ে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ কর্তৃক পটিয়া উপজেলা পরিষদেট সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার দিলীপ চন্দ্র চৌধুরী আরও জানান, এ পর্যন্ত খুঁটি ভেঙ্গেছে ৪৪ টি, খুঁটি পড়ে গেছে ২৩ টি,
খুঁটি হেলে পড়েছে ৫৪ টি, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে ২৭ টি, ক্রস আর্ম নষ্ট হয়েছে ৬৩ টি, ইনসুলেটর নষ্ট
৪৮ টি। এছাড়া মোট ৪৫২ টি স্পটে তার ছিঁড়ে গেছে এবং এসিআর নষ্ট হয়েছে ৫ টি । এসবে মোট ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

পাহাড়ী ঢল এবং দমকা বাতাসে এ পর্যন্ত খুঁটি ভেঙে তিন শতাধিক স্পটে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানানো হয় । এ কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ছয় লাখ ৬৩ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে অন্তত ২ লক্ষ গ্রাহক এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। তিনি গত ২৪ ঘণ্টা ধরেই ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন মেরামতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান।

 

তিনি বলেন, একদিকে মেরামত করা হচ্ছে অন্যদিকে নতুনভাবে কোথাও না কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ভেঙে ও তার ছিঁড়ে যাচ্ছে। এ কারণে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে বলে তথ্য দিয়ে বলেন, আমাদের টিম রাত দিন পরিশ্রমের
মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। এ জন্য তিনি সব মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ইউএনও আতিকুল মামুন, নির্বাহী প্রকৌশলী( বিপিবোর্ড) বিবেক কান্তি দেব, ডিজিএম (সদস্য সেবা) তোফায়েল আহমেদ, এজিএম মোঃ খোরশেদ আলম, এজিএম মোঃ শাহ আলম, এজিএম মোঃ আরিফ উল্লাহ, মোঃ এনামুল হক প্রমুখ।

 

সার্বক্ষণিক জরুরি কন্ট্রোল রুমে অভিযোগ গ্রহনের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা আরো গ্রহনযোগ্য ও মানসম্মত করার উপর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪