ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পেকুয়ায় টানা ভারীবর্ষণ ও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ঢলের পানিতে দুইশতাধিক গ্রাম প্লাবিত, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া

কক্সবাজারের পেকুয়ায় টানা ভারীবর্ষণ ও বেড়িবাঁধ ভেঙে মাতামুহুরী নদীর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে দুই শতাধিক গ্রাম। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। ফলে চকরিয়া থেকে বাঘগুজারা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

 

গতকাল ৭ আগষ্ট (সোমবার) ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে এ সব গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বীজতলা, চিংড়ি ঘের, সড়ক ও বিভিন্ন ঘর বাড়ি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,পহরচাঁদা-পেকুয়া সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামার বাঘগুজারা রাবার ড্যাম সংলগ্ন বেড়িবাঁধের দেড় চেইন পর্যন্ত ভেঙে গেছে। এতে করে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন, শিলখালী, বারবাকিয়া ও টৈটং ইউনিয়নের দুইশতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যাকবলিত লোকজন নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।

 

এদিকে বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা প্রবল বৃষ্টি ও পানি উপেক্ষা করে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন অংশ পরিদর্শন করেন এবং এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিতে বলেন।

 

শীলখালী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তারা এখন পানিবন্দি হয়ে আছে লোকজন।

 

টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদ চৌধুরী জানান, টানা বৃষ্টির পানিতে আমার ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।এতে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।

 

এ দিকে পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙা অংশ মেরামত করা হলে আরো ভয়াবহ হবে পেকুয়ার জন্য। দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ায় দুশতাধিক গ্রামের অন্তত লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

 

এইচ এম কাদের.সিএনএন বাংলা২৪