সিএনএন বাংলা ডেস্ক:
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি অব্যবস্থাপনার দায়ে অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার কার্যক্রম আগামী বছরের মে মাসে শুরু হবে। কিছু মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই বিচার প্রক্রিয়ায় ট্রাম্পকে জেলে যেতে হতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করতে পারে।
বিচার শুরুর তারিখ ঘোষণার পর শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি তার জন্য একটি বড় ধাক্কা। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এটি তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের ক্রুসেডের অংশ।
দ্য সিমন কনওয়ে শোতে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাকে জেলে পাঠানোর সম্ভাবনার বিষয়টি বলার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। কারণ আমাদের ভোটারদের মধ্যে একটি প্রচণ্ড আবেগী গ্রুপ রয়েছে। তাদের মধ্যে ২০২০ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশি আবেগ রয়েছে। আমি মনে করি, এটি খুব বিপজ্জনক হবে।’
উইওনের এক খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ এক্ষেত্রে জুরি বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। যাদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের নিয়োগ হয়েছে ট্রাম্পের আমলেই।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের কাছে রেখেছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টদের আবশ্যিকভাবে তাদের সব নথি ও ই-মেইল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল আর্কাইভে জমা দিতে হয়।
কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর ট্রাম্প অনেক গোপন নথি হোয়াইট হাউজ থেকে তার ফ্লোরিডার বাড়িতে নিয়ে যান। ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু গোপন নথি উদ্ধার করে এফবিআই। এসব নথির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কর্মসূচির গোপন নথিও ছিল। এ মামলায় আদালতে দোষীসাব্যস্ত হলে ট্রাম্পের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
গত মাসে মিয়ামিতে আদালতে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে আনা প্রায় তিন ডজন অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাম্প। তিনি এসব অভিযোগ নিতান্তই হাস্যকর এবং ভিত্তিহীন দাবি করেছেন।
নুর মোহাম্মদ, সিএনএন বাংলা২৪