
নুর মোহাম্মদ:
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতায় শিশুশ্রম নিরসন ও পুনর্বাসনে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের মাঠ পর্যায়ের ফলাফল বিভিন্ন অংশীজনের সাথে শেয়ার করার লক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় রাজধানীর একটি হোটেলে এ কর্মশালাটি আয়োজন করে। সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ আকতারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম সচিব বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার শিশুশ্রম নিরসনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা এখন শিশুশ্রম নিরসনের পাশাপাশি শ্রমে নিয়োজিত শিশুদের পুনর্বাসনের ওপর জোর দিচ্ছি। এ লক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শিশুশ্রম নিরসন ও পুনর্বাসনে একটি কার্যকরী এবং টেকসই প্রকল্প গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে কোন খাতে কি পরিমাণ শিশু শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে, তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা, পারিবারিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থা এবং সেখান থেকে ফিরিয়ে এনে কিভাবে পুনর্বাসন করা যায় সে বিষয়গুলোই সকল অংশীজনের সামনে তুলে ধরে তাদের মতামত নেয়ার জন্য আজকের এই কর্মশালা।
শ্রম সচিব আরো বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ শিশুশ্রম নিরসন এবং পুনর্বাসনে ভুমিকা রাখতে পারে এমন সব মন্ত্রণালয়, দপ্তর-সংস্থা, বিভিন্ন অংশীজন মালিক-শ্রমিক সবাই মিলে কাজ করলে সফলতা আসবেই।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, প্রকল্পের সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন গ্রুপের উপদেষ্টা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. খালেদ মামুন চৌধুরী এবং প্রকল্প পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. এম এ কাদের।
কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রকল্পের সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন টিমের সদস্যরা মাঠ পর্যায়ের ফলাফল উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিরা শিশুশ্রম নিরসন ও পুনর্বাসন প্রকল্পের সফলতা অর্জনে তাঁদের ইতিবাচক মতামত তুলে ধরেন এবং সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
শিশুশ্রম নিরসন ও পুনর্বাসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে তিন বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।