নিজস্ব প্রতিবেদক, নীলফামারী
নীলফামারীর জলঢাকায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলার চারদিন পর অভিযুক্ত দুলাভাই বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ জুলাই) ভোরে উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনা বড় জুম্মাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বেলাল হোসেন ওই এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে। এর আগে গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরী শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন বেলাল হোসেন। পরে ১১ জুলাই বিকেলে বেলালকে আসামি করে জলঢাকা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবে কয়েকদিন ধরে ওই কিশোরীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। সবাই রাজি থাকলেও বিয়েতে রাজি ছিলেন না কিশোরীর দুলাভাই বেলাল হোসেন। এরপরও বিয়ের আলোচনা চলায় ক্ষুদ্ধ ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন পরিবারের লোকজন বাহিরে অবস্থান করায় বেলাল মেয়েটিকে বাড়ির পেছনে ডাক দেন। মেয়েটি বাড়ির পেছনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বেলাল। পরে ব্যর্থ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিশোরীর গলা ও গাল কেটে দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল আলম সিএনএনবাংলা২৪কে বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা আসামিকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। তবে আসামি ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে ছিল। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা গেছে এই কয়েকদিন আসামি বেলাল কিশোরগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে নানা মাধ্যম ব্যবহার করে তাকে এলাকায় ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। শনিবার রাতে তিনি বাড়িতে ফিরলে রোববার ভোরে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
তিনি আরও বলেন, তাকে রোববার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।