নিজস্ব প্রতিবেদক,পেকুয়ায় :
গণমাধ্যমের খবরে দুই মাস আগে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বন কর্মকর্তা ওখান থেকে দুইটি স্তুপ বিক্রি করে দিলেও।বালুর স্তুপের পাশে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বালির তিন স্তুপ ঘিরে শুরু হয়েছে যত রহস্য। গণমাধ্যমের খবরে দুই মাস আগে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বন কর্মকর্তা ওখান থেকে দুইটি স্তুপ বিক্রি করে দিলেও।বালুর স্তুপের পাশে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।
এ যেন চিলে কান নেওয়ার গল্পকে হার মানায়।এ নিয়ে বিস্তারিত দেখুন,পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি এস এম জুবাইদের প্রতিবেদনে
কক্সবাজারের পেকুয়ার মধুখালীর উপরে টৈটং বনবিটের (চকরিয়া হারবাং রিজার্ভ মৌজা) আরাতুল্লার মুখ, ও নশসাফুল্লা,নামক সংরক্ষিত বনের গহিন অরন্য থেকে গত বছরের ২৫ মে ৩টি বালির স্তুপ থেকে মোট ৪ লাখ ৬হাজার ২শত ঘনফুট বালি জব্দ করে চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন বারবাকিয়া রেঞ্জ । ২০২৩ সালে ইউ ডি ও আর (১৭নং টইটং) মামলা দায়ের করেন টৈইটং বিট কর্মকর্তা জমির উদ্দীন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টৈটং বিটের রিজার্ভ হারবাং এ অবস্থিত বালিরস্তুপ নিলামে তুলতে পরির্দশনে যান পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম। ইউএনও নিলামে তুলতে চাইলেও,পরিবেশের ও জীববৈচিত্রের ক্ষতির আশাঙ্কায় নিলামে দিতে রাজি হয়নি বনবিভাগ।
দ্বন্দ্ব দেখা দেয় বনবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে। পেকুয়ার ইউএনও বালু নিলামে তুলতে জোর তদবির তুলে।আদালতের দ্বারস্থ হয়ে উত্তোলিত স্থানে প্রকৃতির সাথে বালু মিশিয়ে দেয়ার অনুমতি চান বন বিভাগ।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পেকুয়ার ইউএনওকে বন মামলা পরিচালনা কারির সামনে পরিমাপ করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বন্ধ হয়ে যায় নিলামের প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে শুরু হয় কাদা ছোড়াছুড়ি। অন্য দিকে ৫/৬বছর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বারবাকিয়া বিটের সংগ্রামের জুম এলাকায় রয়েছে তিনটি বালির স্তুপ।
ওই বালির চারপাশে রয়েছে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের সামাজিক বনায়নের চারা গাছ। ওই বালি বের করার মত নেই কোন রাস্তা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে খবর ছাপাই ওখান থেকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে দুইটি বালির স্তুপ শাকের ও আব্দুল জলিলকে বিক্রি করে দেন বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক।
তবে দুই কৃষক দাবি করেন পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ এক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার ইন্দনে বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হককে ফাঁসাতে তাদের মত নিরীহ খেটে খাওয়া লোকদের নাম দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করানো হয়েছে।
তিন বালির স্তুপ ঘিরে, যে রহস্য এ যেন চিলে কান নেওয়ার গল্পকে হার মানায়।