মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,
গত দুই দিনে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর আরো ৮৪ জন সদস্য বাংলাদেশ বিজিবির আশ্রয়ে।
তারা গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল উপজেলার সদর ইউনিয়নের জামছড়ি লেবুবাগান ও বড চনখুলা ৪৪/৪৫ নং পিলার দিয়ে ১৬ এপ্রিল নতুন করে কয়েক দফায় আশ্রয়ের পর ১৭ এপ্রিল ভোর রাতে আশ্রয় নেয় আরো ৪৬ জন দিনে ১ জন সেনা সদস্য শূন্যরেখা অতিক্রম করে প্রাণের ভয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ বিজিবির আশ্রয় গ্রহণ করেন।
পরে যাদের অস্ত্র আছে তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে প্রথমে সীমান্তে চেরার মার্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেওয়া হয় বলে সীমান্তে বসবাসকারি খলিল ও ফরিদ জানান। পরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আশ্রয় নেওয়া মোট ৬৬ সেনা সদস্যকে সর্বশেষ ১৭ এপ্রিল ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য এর আগে আসা ১৮০ জন সহ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৬৪ জন মিয়ানমারের সেনাসহ জান্তা বাহিনীর সদস্যকে এখন নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেদেশের বেশ কয়েকটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে চলে আসা চলমান সংঘর্ষের কারণে বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপের সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে টিকতে না পেরে জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে।
এ পর্যন্ত এসব সীমান্ত দিয়ে সেই দেশের সেনা ও বিজিপির ৬৭৪ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ৩৩০ জনকে সাগর পথে মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো হলেও বাকিদের কখন ফেরত পাঠানো হবে তা এখনো জানা যায়নি। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জনা গেছে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে বিজিবির মহাপরিচালক আজ ১৮ এপ্রিল সীমান্ত পরিস্থিতি দেখতে এবং পরিদর্শন করতে নাইক্ষ্যংছড়িতে আসছে। এখন থেকে ২য় ধাপে ১৮০ জনকে ফেরত পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে।