নিজস্ব প্রতিবেদক:
গতকাল ভোররাতে ঝড়ের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার গোলবাড়ী গ্রামের একটি পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আজ ভোরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে সেই পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য, মাত্র আট বছরের শিশু সোনিয়া সুলতানা।
গোলবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া সুলতানা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভোর ৪টার দিকে মারা যান বলে জানিয়েছেন তার চাচা আব্দুল আজিজ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পূর্ব গোলবাড়ীর বাসিন্দা এস এম জাকির হোসেন জানান, সোনিয়াই ছিল ওই পরিবারের একমাত্র বেঁচে থাকা সদস্য।
‘আমি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট শিশু সোনিয়া সুলতানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলাম। আজ ভোর ৪টার দিকে সে মারা গেছে। আমি তাকে বাঁচাতে পারিনি,’ বলেন জাকির হোসেন।
শিশুটির চাচা আব্দুল আজিজ বলেন, প্রথমে সোনিয়াকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রাতে তাকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় পৌঁছানোর অল্প সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
গতকাল গোলবাড়ী গ্রামে ভোর ৫টার দিকে ঝড়ের সময় একটি বিদ্যুতের তার ফয়েজুর রহমানের টিনের ঘরের ওপর পড়ে যায়। এর ফলে আগুন লেগে যায় এবং পরিবারের সদস্যরা যখন বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন – শিশুটির বাবা ফয়েজুর রহমান (৫২), মা সিরি বেগম (৪৫), ভাই সায়েম (১০), এবং বোন সামিয়া বেগম (১৬) ও সাবিনা (১৩)।