আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনা সামরিক অনুপ্রবেশের হুমকির মুখেই বিমান প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়েছে তাইওয়ান। আজ মঙ্গলবার সকালে সামরিক প্রশিক্ষণ জোরদারের ঘোষণাও দিয়েছে স্বশাসিত দ্বীপটি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
তাইওয়ানের বিমানবাহিনীর কমান্ড বলছে, তারা ভোর ৫টা থেকে ৭টার মধ্যে মহড়া চালিয়েছে। এই মহড়ায় সামরিক ও নৌবাহিনীর পাশাপাশি তাইওয়ানের তৈরি স্কাই বো ও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
মহড়া ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তাইওয়ানের বিমানবাহিনীর কমান্ড জানায়, এই মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল সামরিক বাহিনীর তিনটি শাখার মধ্যে যৌথ বিমান প্রতিরক্ষা অভিযানের কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ যাচাই করা। তাইওয়ানের আশপাশের আকাশসীমা ও জলসীমায় পিএলএ বিমান এবং জাহাজের ঘন ঘন অনুপ্রবেশের মুখে, সম্ভাব্য হুমকির প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রশিক্ষণের তীব্রতা বাড়ানো অব্যাহত রাখবে বিমানবাহিনী।
তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। এমনকি দ্বীপটিকে নিয়ন্ত্রণে নিতে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখবে বলে মন্তব্য করেছে দেশটি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, দ্বীপটির চারপাশে প্রায় প্রতিদিনই উপস্থিতি জানান দিচ্ছে চীনা যুদ্ধবিমান ও জাহাজ। তাইপের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের সামরিক চাপ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তকে বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধের ‘ধূসর অঞ্চল’ কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এসব কৌশলের মাধ্যমে সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোকে এড়ানো হয়।
তাইওয়ানকে চীনের নিজের ভূখণ্ড দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দ্বীপটি। গত জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী তাইওয়ানের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিংতেকে ‘বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে বিবেচনা করে চীন।
তাইপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানের আশপাশে ১৩টি চীনা বিমান ও নৌবাহিনীর সাতটি জাহাজ দেখা গেছে। গত সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দ্বীপটির চারপাশে ৩৬টি চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত করেছে তাইওয়ান, যা এ বছর এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ।