নিজস্ব প্রতিনিধি:
লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের বিশিষ্ট দানশীল ব্যক্তি কেয়ামউদ্দিন পাটোয়ারী ১৮৯৬ সালে সাধারণ মানুষ ও ধর্মীয় চিন্তা ধারণা এবং সমাজের গরিব ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার জন্য স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ ও গ্রামবাসীর ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য ঈদগাহ মাঠের জন্য ১ একর ৯ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে যান। ওয়াকফ এস্টেটের উইল অনুসারে দলিলের ৮নং কলামে স্পষ্ট ভাষায় বলা আছে, এই উইলকৃত সম্পত্তি পর্যায়ক্রমে শুধুমাত্র তার বংশধর পরিচালনা করবে।
সে অনুসারে তার বংশধর পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এক পর্যায়ে কর্মব্যস্ত জীবনের ফলে দায়িত্ব পালনকারীরা শহরমুখি হয়ে যান। তখন মসজিদ ও অন্যন্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পড়ে মসজিদের ইমামে উপরে। কিন্তু ইমামের মৃত্যুর পর রাখালিয়া বাজার কমিটি অবৈধভাবে সরকারের অনুমোদন ছাড়া এবং কেয়াম উদ্দীন পাটোয়ারীর বংশধরদের না জানিয়ে অবৈধভাবে মসজিদ ও অন্যন্য স্থাপনা পরিচালনা করছে। বর্তমানে অবৈধ ওই কমিটির সাথে কিছু ভূমিদস্যু গত পনের বছর মসজিদের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে। বর্তমানে মসজিদের বহুতল ভবন ও মার্কেটের কাজ চলমান রয়েছে।
জানা যায়, ওই মসজিদে একশোরও বেশি দোকান রয়েছে। দোকানগুলোর পজিশন বিক্রি করে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে বিপুল টাকা বাণিজ্য করেছে।
বর্তমানে সরকার কর্তৃক পরিচালনা কমিটির মতোওয়াল্লী/সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক জানান, সরকারের নিয়ম মেনে এই সম্পত্তির খাজনা ও ওয়াকফ প্রসাশনের সকল নিয়ম মেনে আসছে তাদের এই কমিটি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন বলেন- এই সম্পত্তি কেয়ামউদ্দীন পাটোয়ারীর দানকৃত ওয়াকফ এস্টেট, এটি সত্য বলে তদন্ত করে জানা যায়।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: