ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাইলট-কেবিন ক্রুদের রোজা না রাখার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানে পাইলট ও কেবিন ক্রুদের রোজা না রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির জাতীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)। এ বিষয়ে এয়ারলাইন্সটির কেবিন ক্রু সদস্যদের কাছে একটি বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

 

নির্দেশিকাটিতে স্পষ্টভাবে রোজা রাখা সব পাইলট ও কেবিন ক্রুদের ফ্লাইট পরিচালনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এতে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব নিয়ম ও প্রবিধান মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোজা না রাখার নির্দেশটি পিআইএর ফ্লাইট সুরক্ষা বিভাগের ম্যানেজারের কাছ থেকে এসেছে। তিনি এয়ালাইন্সের সব পাইলট ও কেবিন ক্রুদের কাছে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। সেখানে ফ্লাইট চলাকালীন রোজা রাখার নির্দেশিকাগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্লাইট চলাকালীন রোজা রাখা সম্ভব। তবে এটি ঝুঁকির কারণ হতে পারে। রোজা থাকা অবস্থায় প্লেনের পাইলট কিংবা ক্রুরা দুর্বলতা বা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন। এর ফলে সতর্কতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আর জরুরি পরিস্থিতিতে ভয়াবহ পরিণতির দিকে ধাবিত করতে পারে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রোজা ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত হলেও এটির কারণে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে নেমে যাওয়া) ও পানিশূন্যতার মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা পাইলটের মনোযোগ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও অভ্যাসগত কাজগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে।

 

এদিকে চিঠিতে পাইলট ও কেবিন ক্রুদের কেবল নিজেদের জন্যই নয়, যাত্রী ও গ্রাউন্ড স্টাফদের দায়িত্বের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিউটিতে থাকাকালীন রোজা রাখা কেবল তাদের নিজের নিরাপত্তার জন্যই নয়, অন্যদের জন্যও ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসলেই এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিআইএর এক মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, সবার জন্য যথার্থ নিরাপত্তা বজায় নিশ্চিত করতেই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।