মোসাব্বর হাসান মুসা :
বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনুর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নির্মোহ মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। নির্মোহ মানুষ সমাজ ও দেশের জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ করে কল্যাণ বয়ে আনে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। আমরা সবাই সুখ্যাতির জন্য সময়ের পেছনে ছুটি। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীরা সময়কে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সমাজে ভালো কর্মগুলো চলমান রাখবে। শুধুমাত্র নিজেকে গড্ডলিকা প্রবাহে মিলিত না করে নিজেদের সঠিক শিক্ষা নিয়ে জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, নিজের জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে পারলে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। ভালো রেজাল্ট একটি অর্জন, কিন্তু জীবনে যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হবে, আর তা হলো দেশপ্রেম। সকলের মাঝে দেশপ্রেম থাকতে হবে। যে জাতি নিজের জাতিস্বত্তাকে সম্মান করে না, সে জাতি কখনও উন্নতি করতে পারে না। তাই নিজেদের জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে আজ যারা বিদায় নিবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত রাষ্ট্র, সে জাতির চালিকা শক্তির ভূমিকায় থাকবে আজকের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ। আর সেজন্য আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশক উন্নত দেশে রূপান্তর করবেন আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে। কারণ আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশে তারাই হবে সোনার কারিগর।
অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত পাঠদানে কৃতিত্ব অর্জনকারীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা, কলেজ শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শহীদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক (প্রাথমিক শাখা) আব্দুর রহমান, কলেজ শাখার ইনচার্জ জ্যেষ্ঠ প্রভাষক আব্দুল হামিদ, প্রাথমিক শাখার ইনচার্জ ওয়ায়েস কুরুনি মুন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুল শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি আঞ্জুয়ারা খাতুন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক আল আমিন। বিদায়ী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন মাহিয়া আক্তার নিহা।
