আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের জেরে ইরাক ও সিরিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মিলিশিয়াদের অবকাঠামোতে এই হামলা চালানো হয়েছে।
এই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক নামে পরিচিতি ওই গোষ্ঠীটিতে এমন কিছু সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে যাদেরকে অস্ত্র, তহবিল ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইরানের প্রতিরক্ষাবাহিনী রেভোলিউশনারি গার্ডস ফোর্স। ধারণা করা হয় যে, রবিবারের হামলার পেছনে এই গোষ্ঠীর হাত ছিল।
এরইমধ্যে হামলার জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। টাওয়ার ২২ নামে পরিচিতি ওই সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ফলে আরো ৪১ জন মার্কিন সেনা আহত হয়।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দারা বিশ্বাস করে যে, সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় যে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল তা ইরানেই তৈরি করা এবং ইউক্রেনে হামলার চালানোর উদ্দেশ্যে রাশিয়ায় ইরান যে ড্রোন পাঠিয়েছে তার সাথে এর মিল রয়েছে।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লইড অস্টিন বিলম্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, “আমরা যেখানে, যখন এবং যেভাবে চাই, সেভাবেই পাল্টা পদক্ষেপ নেবো।”