ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা, হতাহতের শঙ্কা

জামালপুর প্রতিনিধি :

গণপূর্ত বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার পরও শঙ্কা নিয়ে চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই ছাদ থেকে মাথার ওপর বড় বড় প্লাস্টার ধ্বসে পড়ছে। যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ভবনের ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা।

জামালপুরে ১৯৪৬ সালে নির্মিত প্রথম ৫০ শয্যার হাসপাতালটি বর্তমানে বহির্বিভাগের আগত রোগীদের চিকিৎসকরা সেবা চলছে। ২০০৩ সালে হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত হলে পার্শ্ববর্তী শেরপুরসহ কুড়িগ্রাম জেলার রোগীরাও এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শুধু চিকিৎসা সেবাই না এখানে রয়েছে টিকিট কাউন্টার, অনুসন্ধানী ডেস্ক ও ওষুধ সরবরাহ কেন্দ্র।

হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভবনটি অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেও তারা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় চিকিৎসক এবং যারা চিকিৎসা সেবা নিতে আসছে উভয়পক্ষই বিপদজনক অবস্থার রয়েছে। মাঝে মধ্যেই ছাদের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। অনেকেই অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। দ্রুত সময়ের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালটিতে বড় সমস্যা হচ্ছে রোগীদের আবাসন। ১৯৬১ সালে নির্মাণ করা হয়েছে সেটা ২০২১ সালে স্থানীয় গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঘোষণা করেছেন। যেটা এখন ভেঙে ভেঙে পলেস্তারা পড়ে যাচ্ছে। অনেক সময় ডাক্তার এবং রোগীরাও আহত হচ্ছে। আমরা গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে নতুন ভবনের চাহিদা দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া করে না দেয় তাহলে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হতে পারে।’

জামালপুর গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এফ এম আশ্রাফুল আউয়াল রানা বলেন, ‘আমরা মেরামতে মাধ্যমে এটাকে ব্যবহার যোগ্য করে রেখেছি। ২০২১ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছি। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাবনাটির অনুমোদন পাবো।’

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত এ ভবনটিতে ৩৯ জন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।