ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কায় দুইদিন বন্ধ ৩২ ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:

বেনাপোল এক্সপ্রেসের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ট্রেনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দুই অঞ্চল থেকে ৩২টি ট্রেনের ২ দিন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরের কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে এসে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। কামরুল আহসান বলেন, কিছু লোকাল ট্রেন যেগুলোর দিনের বেলাতে মুভমেন্ট কম থাকে এমন পূর্বাঞ্চলের ২০টি এবং পশ্চিমাঞ্চলের ১২টি ট্রেন এ দুইদিন চলবে না। লোকাল ট্রেনগুলো বন্ধ রাখা হলেও আন্তঃনগর সব ট্রেন আগের মতোই চলাচল করবে।

কেন স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রীর মুভমেন্ট কম থাকার কারণে এ ট্রেনগুলো সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ ট্রেনে আমাদের যেসব কর্মচারী আছে তারা অন্য ট্রেনগুলোতে কাজ করবে। ইলেকশনের পূর্ব মুহূর্তে আমাদের লোকোমোটিভগুলো দিয়ে রেললাইনের নিরাপত্তা দেখবো। পুরো কাজটাই করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করার জন্য।

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলওয়ের পাশাপাশি পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও কাজ করছেন। আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটা নাশকতামূলক কার্যক্রম। এটা এখন ফাইনাল বলা যাবে না। যারা নিহত হয়েছেন, তারা তো পুড়ে গেছেন। এটা ডিএনএ ছাড়া সনাক্ত করা সম্ভব না। কমলাপুরে জিআরপি থানায় মামলা হয়েছে।

ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসের দুইটি বগি একেবারে পুড়ে গেছে এবং পাওয়ার কার আংশিক পুড়ে গেছে। এর আগে রাজধানীর গোপীবাগে পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন রুটের আটটি ট্রেন চলাচল দুই দিন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার শনিবার মধ্যরাতে তাঁর ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।

ট্রেনগুলো হলো- বেনাপোল এক্সপ্রেস ও ঢালারচর এক্সপ্রেস, মহানন্দা (আপ/ডাউন), রকেট (আপ/গাউন), পদ্মরাগ (২১ / ২২), রংপুর সাঁটল (৯৭ / ৯৮), ঢাকা কমিউটার (৯৯), রাজশাহী কমিউটার (৫ /৬) ও বগুড়া কমিউটার (৫ /৬)। এ ছাড়া চিলমারী কমিউটার ও লোকাল (৪৬২ / ৪৫৫ / ৪৫৬ / ৪৬১) ৬ জানুয়ারি (আংশিক) ও ৭ জানুয়ারি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।

গত ২২ ডিসেম্বর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল-অবরোধে নাশকতা এড়াতে পাঁচ জোড়া ট্রেনের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, রাতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় এসব ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করা ট্রেনগুলো ছিল—ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে ভূঞাপুর, জামালপুর থেকে সরিষাবাড়ী, উত্তরা এক্সপ্রেস ও ঈশ্বরদী থেকে রহনপুরগামী লোকাল ট্রেন। এসব ট্রেন এখনও চালু হয়নি।