স্পোর্টস ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কখনো টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি ভারতের। এবারও গো-হারা হেরে তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু করেছে রোহিত শর্মার দল। সেঞ্চুরিয়ানে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইনিংস ও ৩২ রানের ব্যবধানে হেরেছে সফরকারীরা।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) ১৬৩ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ভারত। উইকেটে এসে চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখেন ব্যাটাররা! তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপ! প্রোটিয়া পেসারদের তোপের মুখে ১৩১ রানে গুটিয়ে গেছে ভারত।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি রোহিতরা। লোকেশ রাহুল ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস না খেললে আরও কম রানে শেষ হয়ে যেত ভারত। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ডিন এলগারের ২৮৭ বলে ১৮৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪০৮ রান করে স্বাগতিকরা।
টেস্টের প্রথম দিনেই ফিল্ডিং করতে নেমে পায়ে টান লেগেছিল অধিনায়ক বাভুমার। তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। ব্যাটও করেননি। তারপরেও দক্ষিণ আফ্রিকা একটি মাত্র ইনিংস ব্যাট করেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে।
তিন দিনের মধ্যেই বাজে হার নিয়ে পরে রোহিত বলেন, ‘আমরা জেতার মতো খেলিনি। ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুল ভালো খেলেছে। আমাদের লড়াই করার মতো একটা রানে পৌঁছে দেয়। কিন্তু আমরা বল হাতে সেটাকে কাজে লাগাতে পারিনি।’
ভারতীয় অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘টেস্ট জিততে হলে দল হিসেবে খেলতে হবে। এখানে আমরা টেস্ট শুরুর অনেকদিন আগে চলে এসেছিলাম। জানতাম এখানকার আবহাওয়া এবং পিচ কেমন। দলের প্রত্যেকে জানে তাদের থেকে কী চাওয়া হচ্ছে। প্রতিটা ক্রিকেটারের নিজস্ব পরিকল্পনাও থাকে। কিন্তু আমাদের ব্যাটাররা পরীক্ষার মুখে পড়ে ব্যর্থ হয়েছে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি তারা।’
যে পিচে ভারতীয় ব্যাটাররা বলের নাগাল পাচ্ছিলেন না, সেখানেই ডিন এলগার ১৮৫ রান করেন। মার্কো জানসেন ৮৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন। রোহিত বলেন, ‘এই মাঠে বাউন্ডারি মারা সহজ। আমরা দেখলাম ওদের ব্যাটাররা কীভাবে রান করে গেল। আমাদের প্রতিপক্ষকে বুঝতে হবে। তাদের কোনটা শক্তি, কোনটা দুর্বলতা সেটাও জানতে হবে। আমরা দুটো ইনিংসেই খারাপ ব্যাটিং করেছি। সেই কারণেই আমাদের এই অবস্থা।’
ব্যাটারদের দায় দেখলেও বোলারদের তেমন দোষ দেখছেন না রোহিত। তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলাররা চেষ্টা করেছে। ওদের মধ্যে অনেকেই প্রথমবার এখানে বল করল। আমি তাই ওদের ভুল ধরব না। দল হিসেবে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আগামী টেস্টে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব।’