সিএনএন বাংলা২৪,নারায়ণগঞ্জ
ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমান ও গণমাধ্যমকর্মী এনামুল হক বিদ্যুৎ সাক্ষ্য প্রদান করেন।
দশম দফায় এই দুইজনসহ এই মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি রকিবউদ্দিন আহমেদ সিএনএন বাংলা২৪কে সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে যে দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই বলেছেন মামুনুল হক ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঘটনার দিন তাকে ঝর্ণার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে। যদিও মামুনুল হক পরে তাকে (জান্নাত আরা ঝর্ণা) তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেছিলেন। কিন্তু শুরু থেকেই ঝর্ণা তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ করে আসছেন।
এদিকে মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্যতে কোনোভাবেই প্রমাণ হয় না যে, মামুনুল হক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সাক্ষী আব্দুর রহমান বলেছেন, তার মা ঝর্ণার সঙ্গে তার বাবার বিচ্ছেদ হয়। তার বাবার সঙ্গে মামুনুল হকের ভালো সম্পর্ক ছিল। বিচ্ছেদের পর ঢাকায় তার মা ঝর্ণার সঙ্গে মামুনুল হকের বিয়ে হয়। এই সাক্ষ্য প্রদান শেষে ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমান তার নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। এতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে মামুনুল হককে এই মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। আশা করি আদালত তাকে বেকসুর খালাস দিবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। এমন খবর ছড়িয়ে গেলে স্থানীয়
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওই রিসোর্ট ঘেরাও করেন। বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হলে হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নেন। এরপর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ৩০ এপ্রিল জান্নাত আরা ঝর্ণা সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: