বিশেষ প্রতিবেদন :
ভারতের কেরালার থিরুভানাথাপুরামে যৌতুক দিতে না পারায় বিয়ে ভেঙে দেওয়ায় ২৬ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে যৌতুক চাওয়ার অভিযোগ এনেছেন সেই নারী।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহানা নামের ওই চিকিৎসক থিরুভানাথাপুরাম সরকারি মেডিকেলে সার্জারি বিভাগে স্নাতকোত্তর করছিলেন। মা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। দুই বছর আগে তার বাবার মৃত্যু হয়। একই মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ইএ রুয়াইসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল শাহানার। তারা বিয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন।
নেল্লানাদ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অ্যাডভোকেট এস সুধীর জানান, রুয়াইস গত মাসে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে শাহনার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এরপর শাহনার পরিবার কোল্লামে রুয়াইসের বাড়িয়ে যায়। বিয়ে ঠিক হওয়ায় শাহানা খুব খুশি ছিল। তার পরিবার ৫০ লাখ রুপি, ৫০ ভরি স্বর্ণ ও একটি গাড়ি দিতে ইচ্ছুক ছিল। কিন্তু রুয়াইসের পরিবার যৌতুক হিসেবে ১৫০ ভরি স্বর্ণ, ১৫ বিঘা জমি ও একটি বিএমডব্লিউ দাবি করে। তবে শাহানার পরিবার জানায় তাদের পক্ষে এই দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়। আর এতে রুয়াইসের পরিবার বিয়ে ভেঙে দেয়।
আর এতেই শাহানা বেশ হতাশ হয়ে পড়েন এবং আত্মহত্যা করেন। তার অ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, ‘সবাই কেবল অর্থই চায়।’ কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগকে বিষয়টি তদন্ত করার এবং একই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।