ই-পেপার | শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাধবকুন্ড ইকোপার্ক ও হাকালুকি হাওর পর্যটক শূন্য

সালেহ আহমদ স’লিপক, সিলেট:

দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল-অবরোধের বিরূপ প্রভাব পড়েছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পর্যটন খাতে। পর্যটনের ভরা মৌসুমেও পর্যটকশূন্য দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মাধবকুন্ড ইকোপার্ক ও সর্ববৃহৎ জলাভূমি হাকালুকি হাওর। প্রায় ১৫ দিন ধরে পর্যটন খাতের এমন ধ্বসে মারাত্মক লোকসানে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।জানা গেছে, অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণত পর্যটন মৌসুম বিরাজ করে। তবে বড়লেখা উপজেলার মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, ইকোপার্ক এবং হাকালুকি হাওরে বছরের অন্যান্য সময়েও কিছুনা কিছু পর্যটকের আনাগোনা থাকে। কিন্তু এবার পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েছে এই শিল্পে। ২৮ অক্টোবরের পর ধ্বস নামে পর্যটন স্পটগুলোতে। যার কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের আয় রোজগার নেমে পড়েছে শূন্যের কোটায়।গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক এলাকা পর্যটক শূন্য থাকতে দেখা গেছে। শতাধিক ব্যবসায়ী, পর্যটন রেস্তোরার কর্মকর্তা-কর্মচারি, পর্যটক পুলিশ, ফটক ইজারাদার ও পর্যটক সহায়ক ভলান্টিয়াররা অলস সময় পার করছেন।

 

মাধবকুন্ড বাজার বণিক সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ, ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম, বিলাল আহমদ প্রমুখ জানান, প্রায় ১৫ দিন ধরে মাধবকুন্ডে পর্যটক আগমন কমে গেছে। অনেক ব্যবসায়ী এখন আর দোকান-ই খুলছেন না।এদিকে মাধবকন্ড জলপ্রপাত ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রে নিয়োজিত ক্যামেরাম্যান জুয়েল আহমদ, রুজেল আহমদ, পারভেজ আহমদ প্রমুখ জানান, আমরা ১৬জন ক্যামেরাম্যান আগত পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল। পর্যটকের ছবি তোলে ও নানা সহায়তার বিনিময়ে তারা যা দেন তাতেই তাদের পরিবার চালান। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে পর্যটক না আসায় তাদের কোন আয় রোজগার হচ্ছে না।বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন পরিচালিত মাধবকুন্ড পর্যটন রেস্তোরার ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দূরদূরান্তের কোন পর্যটক আসছেন না। স্থানীয় ২/৪ জন আসলেও ব্যবসা-বাণিজ্যে তাদের কোন ভুমিকা নেই। যেখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক আসতেন, এখন সেখানে যেন এক ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে।

 

সিএনএন বাংলা২৪