ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাংবাদিক পুত্র অংকুর দাশ

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও

 

সবাইকে কাঁদিয়ে অবশেষে চলে গেলেন অংকুর দাশ (১২)। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় না ফেরার দেশে চলে যায় সে। অংকুর দাশ সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক বলরাম দাশের একমাত্র পুত্র সন্তান। সে কক্সবাজার পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ছিল। জানা যায়, অংকুর দাশ ছিল তীক্ষ্ণ মেধাবী। তাঁর বুদ্ধিমত্তায় সবাই বিমোহিত ছিলেন। অল্প বয়সে সে গীতা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আসরে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে আনতো। তাঁর চঞ্চলতায় মুখরিত থাকতো স্কুল, খেলার মাঠ ও বাড়ির আঙিনা। কক্সবাজারে সবার পরিচিত মুখ ছিল সে।

 

অংকুর দাশের পিতা সাংবাদিক বলরাম দাশ অনুপম বলেন, ‘গত মাস দুয়েক আগে হঠাৎ জ্বর আসলে অংকুরকে এখানে ডাক্তার দেখানো হয়। কিন্তু চিকিৎসক তাঁর রোগ বুঝতে না পেরে ভুল ওষুধ দিয়েছিলেন। এতে তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের পিআইসিওতে চিকিৎসাধীন ছিল। গত দুইদিন আগে তাঁকে আনা হয়। অংকুরকে বাঁচাতে শত চেষ্টা করেছি, কিন্তু সম্ভব হলো না। অনেকেই আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছে, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’শহরের গোলদিঘির পাড়ের জাদিরাম পাহাড়ের বাসিন্দারা জানান, ‘সে আমাদের সন্তানের মতো ছিল। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাজুড়ে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম।’বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে অংকুর দাশের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

এদিকে মেধাবী অংকুর দাশের অকাল প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ মোস্তাক, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর ও সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ, সদর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট বাপ্পি শর্মা, সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের সভাপতি এম.এ আজিজ রাসেল, রাখাইন ক্রীড়া সংস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সিএনএন বাংলা২৪