জাহেদুল আলম রাজু , রাউজান :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে আওয়ামী লীগের তথা ১৪ দলীয় জোটের একক মনোনয়ন প্রত্যাশী টানা চারবারের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। তাঁর বিকল্প নেই রাউজান আওয়ামী লীগে। দলীয় নেতাকর্মী, সাধারণ সমর্থক ও স্থানীয় জনসাধারণের বদ্ধমূল বিশ্বাস-এবারও দলের একমাত্র ভরসা ফজলে করিম চৌধুরী। তাঁর হাতেই উঠবে ষষ্ঠ বারের মতো দলের প্রতীক ‘নৌকা’। এই নেতা ১৯৯৬ সাল থেকে রাউজান আওয়ামী লীগের একমাত্র কান্ডারী হয়ে উঠেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে অল্প ভোটে হারলেও পরের নির্বাচনে ২০০১ সালে জয়লাভ করে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের হয়ে আসনটি ধরে রেখেছেন ফজলে করিম চৌধুরী। এ জন্য এবারও তাকে নিয়ে নিশ্চিন্ত দলের নেতাকর্মীরা। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্ভর এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী একাই প্রায় প্রতিদিন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সভা-সমাবেশে বক্তব্য রেখে নির্বাচনে দলের পক্ষে এবং তার পক্ষে রায় প্রদানের বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ জনগণকে।
স্থানীয়রা বলেন, এলাকাবাসী যেকোন সমস্যা নিয়ে গভীর রাতেও কথা বলতে চাইলে মোবাইল ফোন রিসিভ করেন তিনি। ফজলে করিমের হাত ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগ-অঙ্গ সংগঠন অতীতের সব চাইতে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এখন।
এদিকে নির্বাচনের তফসিলের দিন ঘনিয়ে আসলেও এলাকায় বিএনপির সম্ভাব্য কোন প্রার্থীর নড়াচড়া নেই। তবে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনে থাকা বিরোধীদল বিএনপির একাধিক নেতার নাম উঠে আসছে আগামী নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায়। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার এবং গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর জেষ্ঠ্য সন্তান সামির কাদের চৌধুরী। তবে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ঋণ খেলাপি মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাজাপ্রাপ্ত। তাঁর অনুসারীরা বলছেন, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে তার সাজা বাতিলের চেষ্টায় আছেন। এ কারণে তিনিই হবেন রাউজান বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের একমাত্র প্রার্থী। কোন কারণে এর ব্যতিক্রম হলে তার বড় ছেলে সামির কাদের চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন চাইবেন-এমনটাই শোনা যাচ্ছে। এদিকে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়া রাউজান আসনে অন্যকোন দলের তেমন কোন অস্তিত্ব নেই। জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলুর জীবদ্দশায় বিগত নির্বাচনগুলোতে প্রার্থী হিসেবে তার নাম উঠে আসলেও এখন তার অবর্তমানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সফিক-উল আলম চৌধুরী দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে দলীয় ভিত, এলাকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ১৯৯৬ সাল থেকে এলাকার লোকজনের সাথে সুখ-দুঃখের সারথী হিসেবে থাকাসহ নানা কারণে বর্তমান সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী আগামী নির্বাচন নিয়ে নির্ভার রয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলেই তিনি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের পর সংসদীয় এই আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে পড়ে। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আসনটি অধিকাংশ সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর হাতেই ছিল। ২০০১ সালের আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ফজলে করিম চৌধুরীর হাত ধরে আসনটি পুনরুদ্ধার করে আওয়ামী লীগ। সেই থেকে এই পর্যন্ত আসনটি আওয়ামী লীগের হয়ে ধরে রেখেছেন। এ উপজেলাকে গড়ে তোলেছেন আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে। দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন ‘নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগের ফজলে করিমের সাথে ‘ঠেক্কা’ দেয়ার মতো কেউ নেই। তিনি দলের ব্যতিক্রম, সৃষ্টিশীল, দক্ষ রাজনীতিবিদ।’
আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত থাকার কারণে উপজেলার ১৪ ইউপি চেয়ারম্যান, প্রতিটি ওয়ার্ডের পুরুষ-মহিলা সদস্য, পৌরসভার মেয়র, ৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সবাই ফজলে করিম সমর্থিত। তিনি উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন, পৌরসভায় ১৬টি দলীয় নিজস্ব কার্যালয় নির্মাণ করেছেন। প্রতিজন ইউপি সদস্যদের জন্য আলাদা কার্যালয় করেছেন। উপজেলার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করেছেন। দুই প্রান্তে দুটি পিংক সিটি, শিল্প প্রতিষ্ঠান, আলাদা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রতিদিন টিফিনের ব্যবস্থা চালু, প্রশাসনিক ভবন, স্কুল-মাদরাসা, কলেজ, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, কবি নবীন সেন কমপ্লেক্স, নতুন থানা ভবন, মাস্টার দা সূর্যসেন স্মৃতি ভবন, পাঠাগার নির্মাণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ, চিকদাইয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আইটি সেন্টার, নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কার্যালয়ের নতুন স্থাপনা নির্মাণ, নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণ, সংস্কারসহ তার অধীনে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন ও চলমান রয়েছে। ফজলে করিম এমপি ইতিপূর্বে বিভিন্ন সমাবেশে বলেছেন, ‘অনেকটা যুদ্ধবিধব্বস্ত এলাকার মতো রাউজানকে আমি মডেল উপজেলায় পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, খুন, অপরহণ নেই বললেই চলে। ইতোমধ্যে রাউজান সারাদেশের মধ্যে একটি হরতালমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং এলাকার মানুষকে আমি সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এলাকার উন্নয়ন করেছি। আগামীতে আমি রাউজানের অবশিষ্ট কাজগুলো সম্পন্ন করে যেতে চাই। রাউজানে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন আমার স্বপ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন অতীতের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী। প্রতিটি নেতাকর্মী একেকজন ‘ফজলে করিম’ হয়ে কাজ করছে দলের প্রয়োজনে, মানুষের প্রয়োজনে। দীর্ঘ ২৭ বছর আমি নিজের পরিবারকে সময় দিইনি। এলাকার মানুষকে সময় দিয়ে তাদের সুখ, দুঃখে থেকে যেকোন প্রয়োজন সমাধান করেছি। যেকোন কর্মকা- এখন রাউজান থেকে দেখে শিখছে অন্য উপজেলার মানুষ।’
রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, ‘ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানবাসীর জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে যেমন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনকে আকড়ে ধরে রেখেছেন, তেমনি রাউজানের সাধারণ মানুষকেও এক কাতারে রেখেছেন। উপজেলাকে শান্তির রাউজানে পরিণত করেছেন। তার কারণে রাউজানের মুখ এখন সবখানে উজ্জ্বল। আগামী নির্বাচনে ফজলে করিমের বিকল্প নেই। মনোনয়ন পেলেই সর্বস্তরের মানুষ ফজলে করিমকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন-এটা শতভাগ নিশ্চিত আমরা।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাব বলেন ‘রাউজান থেকে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীই মনোনয়ন পাবেন- এটা দলের নেতাকর্মী, সমর্থক এমনকি অন্যান্য দলের লোকজন এবং সর্বস্তরের মানুষ নিশ্চিত। কেননা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমস্ত নির্দেশিত দলীয়, রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি এখানে পালিত হয়েছে ফজলে করিমের নেতৃত্বে। প্রতিটি এলাকায় সংগঠনের স্থায়ী অফিস হয়েছে। সংগঠন শক্তিশালী হয়েছে। দলের মধ্যে কোন্দল নাই। নেতাকর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। এলাকায় যথাযথ উন্নয়ন হয়েছে। রাউজান এখন পিংক, গ্রিন, ক্লিন উপজেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে কনসেপ্ট ‘গ্রাম হবে শহর’ সেটা রাউজানে প্রায়ই বাস্তবায়ন হয়েছে ফজলে করিমের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে, ফজলে করিম চৌধুরী আগামীতে শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রস্তুত। তার বিকল্প এখানে আর কেউ নেই।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক বশির উদ্দিন খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সুমন দে বলেন, ‘২৭ বছরের রাজনীতিতে অশান্ত জনপদকে শান্তির জনপদে পরিণত করেছেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। রাউজানের মানুষ উন্নয়ন, শান্তির স্বার্থে তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তিনিই দলের একমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী।’
এদিকে মাঠে আওয়ামী লীগের ঐক্যের বিপরীতে ভিন্ন চিত্র রাউজান বিএনপিতে। দুইভাগে বিভক্ত হয়ে আছে উপজেলা বিএনপি। একটির নেতৃত্বে আছেন কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আরেকটির নেতৃত্ব দেন আরেক কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার। তবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপই কোণঠাসা। সভা-সমাবেশতো দূরের কথা, দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের অনেকে এলাকা ছাড়া। মাঝে-মধ্যে নগরীতে কোন সভা করে পত্রিকায় সংবাদ ছাপান। সরকারি দলের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের ভয়ে বিরোধীদলের কোন হরতাল কিংবা অন্য কোন কর্মসূচি রাউজানে পালন করতে পারে না বিএনপি।
এ প্রসঙ্গে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা বলেন, মামলা-হামলার ভয়ে তারা রাউজানে থাকতে পারেন না। অনেকে মামলার আসামি। অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে গিয়াস কাদের চৌধুরীর নাম প্রকাশ করে এক অনুসারী দাবি করেন, ‘এলাকায় সাংগঠনিকভাবে কোন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে না পারলেও নীরব ভোটার রয়েছে তাদের। কাজেই এখানে ‘চৌধুরী পরিবার’ থেকেই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীই হবেন আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী। বিএনপির নমিনেশন প্রাপ্তিতে তার কোন বিকল্প নেই রাউজানে।’
নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘আমাদের এখন নির্বাচন সম্পর্কে চিন্তা নেই। আমরা আন্দোলনে আছি। আমাদের দাবি পূরণ হলে নির্বাচনে যাবো। তখন দল চাইলে আমি রাউজান থেকে মনোনয়ন নেব।’ গোলাম আকবর খন্দকার সমর্থিত কয়েকজন নেতা বলেন, ‘গোলাম আকবর খন্দকার দলের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইলে পাবেন বলে আমরা আশাবাদী।’
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে কোনভাবে পাওয়া যায়নি। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশী তার ছেলে সামির কাদের চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি গত নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলাম। এবারও মনোনয়ন নিব। তবে নির্বাচন আসুক, তখন সিদ্ধান্ত নিব। নির্বাচনে অংশ নেয়ার মতো ওরকম পরিস্থিতি দেশে এখনো সৃষ্টি হয়নি। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে সব। যদি নির্বাচন হয়, সকল বাঁধা পেরিয়ে বাবা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীই হবেন দলের প্রার্থী। তবে এতে দলীয় সিদ্ধান্তের একটি বিষয় রয়েছে।’
পশ্চিমে হাটহাজারী, উত্তরে ফটিকছড়ি, দক্ষিণে কর্ণফুলী নদী ও পূর্বে রাঙ্গুনিয়া ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং হালদা নদী, কর্ণফুলী নদী তীরের বহুল আলোচিত রাউজান উপজেলার অবস্থান। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ সালে এ আসনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, ১৯৭৯ সালে বিএনপি’র জহির উদ্দিন খান, ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু, ১৯৯১ সালে এনডিপির হয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি’র নির্বাচনে বিএনপি’র গোলাম আকবর খোন্দকার, একই সালের ১২ জুনের নির্বাচনে বিএনপির গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে মোট চার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে জয়লাভ করেন বর্তমান সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।