বিশেষ প্রতিবেদক :
দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি তেলের ডিলার পর্যায়ে কমিশন বৃদ্ধি ও তেলের মূল্য সমন্বয় করেছে সরকার। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সমন্বয় কার্যকর করেছে।
ভোক্তাপর্যায়ে সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হলেও, ডিলার পর্যায়ে সে হারে কমিশন বৃদ্ধি করা হয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে পেট্রোল পাম্প মালিকরা দাবি করেন, তারা লোকসানের মুখে পড়ছেন। ফলে ডিলার পর্যায়েও তেলের কমিশন বৃদ্ধির দাবি তোলেন তারা।
এ বিষয়ে বারবার মন্ত্রণালয়ে ধরনা দিলেও কোনো সুরাহা মেলেনি। ফলে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে তেল উত্তোলন,পরিবহন ও পেট্রোলপাম্পে তেল সরবরাহ বন্ধ করে পেট্রোলপাম্প মালিক সমিতি। তাদের দাবি ছিল, জ্বালানি তেল বিক্রয় কমিশন ৭.৫০% নির্ধারণ করা, পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়ীদের এজেন্ট কমিশন গেজেট আকারে প্রকাশ করা, ট্যাংকলরি ভাড়ার ওপর ভ্যাট সংযুক্ত নয়, এবিষয়ে সু-স্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা ও ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফের জন্য পৃথকভাবে সু-স্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।
সেসময় বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেছিলেন, আমাদের দাবিগুলো পুরোনো। জ্বালানি তেলের দাম যখন ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়, তখন আমাদের কমিশন কমিয়ে দেওয়া হলো।তেলের দাম যদি বাড়ানোই হয়, তাহলে আমাদের কমিশনও বাড়াক। বাস্তবতা হলো আমাদের ইনভেস্টমেন্ট বেড়ে গেছে। সুতরাং আমাদের কমিশনও বাড়াতে হবে।