ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজারেই হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

ইকরা তৌহিদ মিম :

 

দক্ষিণ চট্টগ্রামে হতে যাওয়া বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি কোন জায়গায় হচ্ছে তা নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক। সরকারের পক্ষ থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগের কথা জানানোর পর থেকেই চলছে এই নিয়ে মাতামাতি। এবার সেই বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানালেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। কক্সবাজার জেলার জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা এবং এটাকেই মাথায় রেখে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা-এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

 

শনিবার বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান নওফেল।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোন জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়েছে, জানতে চাইলে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘জায়গার বিষয়টাতো এখন নির্ধারণের বিষয় না। তবে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন। সে বিষয়ে আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। সবার আগে হবে আইন। যেহেতু কক্সবাজার জেলার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন, তাই আপাতত আমরা সেটিকে মাথায় রেখে এগোচ্ছি।’

 

বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে কাজের অগ্রগতির বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে আমাদের কাছে আসার পরেই, আমরা সেটা কেবিনেটে পাঠাবো। তারপর সেটি কেবিনেটে পাশ করার পর সংসদে আসবে। তবে বলাটা মুশকিল যে, এই মেয়াদে সংসদে এটা পাশ করাতে পারবো কিনা। তবে আমরা যদি কেবিনেট থেকে পাশ করিয়ে ফেলতে পারি, তাহলে পরবর্তী কাজগুলো যথাসময়ের মধ্যেই হয়ে যাবে।’

 

কোন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সম্ভাবনা আছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মন্জুরি কমিশন আমাদের যে প্রস্তাবনাটি দিয়েছে, সেখানে জেনারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেছেন। সেখানে সর্বসাধারণের ভর্তির সুযোগ থাকবে, ভৌগলিকভাবে সেটা যাতে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় মধ্যবর্তী কোনো জায়গায় যেনো হয় সেটা মাথায় রাখা হয়েছে। ওইদিকে তিনটি ডিস্ট্রিক-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান থেকে শিক্ষার্থীরা আসতে পারে, সেটাই হবে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।’

 

তবে এখনও কক্সবাজারের ঠিক কোন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে, তা ঠিক করা হয়নি বলেও জানান নওফেল। স্থানের আগে আইন পাশ হতে হবে। কক্সবাজারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪