ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কোর্টে গিয়ে বিয়ের কথা বলে ইকোপার্কে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ : গ্রেপ্তার ৩

শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী :

 

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের বাঁশখালী ইকোপার্কের পশ্চিমে জঙ্গল ভেতরে নির্জন জঙ্গলে টমেটো ক্ষেতে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণের মামলায় তিনজন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

বাঁশখালী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর শুধাংশু শেখর হালদার জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনকে নামোল্লেখ পূর্বক আসামী করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়ন ও জলদী এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত আসামী মো. আব্দুল খালেক (২৬), সাহাব উদ্দিন প্রকাশ মিয়া (২৪) শীলকূপের আদর্শগ্রামের বাসিন্দা ও অপরজন মো. মনজুর আহমদ (৪০) পৌরসভার দক্ষিণ জলদির বাসিন্দা।

 

গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাঁশখালী ইকোপার্কের পশ্চিমে জঙ্গল শীলকূপ এলাকায় একটি টমেটো ক্ষেতের পাশেই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয় অভিযোগ করে বাঁশখালী থানায় মামলা করেন তার পিতা মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

 

ওই কিশোরীর পিতা বলেন, ‘আমার মেয়ে ফুলি ছদ্মনাম (১৭) সরল আমিরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে। আমাদের এলাকায় গিয়ে মামলার ১নম্বর আসামী আব্দুল খালেক স্ক্রাব ব্যবসা করত। ব্যবসার সুবাদে গিয়ে আমার মেয়ের ফোন নম্বর নেয়। সে থেকে ফোনে কথা বলে ৪ মাস তাদের সম্পর্ক হয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আমার মেয়ে স্কুলে প্রাইভেট পড়তে গেলে ফোন করে কোর্টে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উপজেলা সদরে নিয়ে যায়। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় আমার মেয়েকে ইকোপার্কে বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে রাত ৮টার দিকে ইকোপার্কের সামান্য পশ্চিমে এনে খুন, জখমের ভয় দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় মামলার অন্যান্য আসামীরাও জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ও ধর্ষণে সহায়তা করে।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘পরে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ১নম্বর আসামী আব্দুল খালেক আমার মেয়েকে উপজেলা সদরে এনে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার কথা বলে শহরগামী একটি সিএনজিতে তুলে দেয়। পরে সে আর যায়নি। আসামীর কথা মতো আমার মেয়ে চট্টগ্রাম শহরের নতুন ব্রিজে গিয়ে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পায়। পরে আমার মেয়ে বাসযোগে বাঁশখালী সদরে আসলে দেখা হয় মিয়ার বাজারে। ঘটনার বিস্তারিত আমাদেরকে অবহিত করেন।’

 

বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুধাংশু শেখর হালদার জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ওই কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। বুধবার আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংল২৪