ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চালু হচ্ছে এলিভেটেড ও ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে, বদলে যাচ্ছে ঢাকার চেহারা

নাজমুন নাহার, ঢাকা অফিস:

রাজধানী ঢাকার চেহারা আগামী দুই মাস পরই বদলে যাবে। সেপ্টেম্বরে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম পর্বের পাশাপাশি চালু হচ্ছে ১৪ লেনের পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে। অক্টোবরে কথা রয়েছে বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প চালুর। আর সেই মাসের শেষে উত্তরা থেকে মতিঝিলে ছুটবে স্বপ্নের মেট্রোরেল। এতে যোগাযোগ খাতে গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

 

আধুনিক ঢাকার অন্যতম গেটওয়ে হিসেবে ধরা হচ্ছে দেশের প্রথম ১৪ লেনের মহাসড়ক পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েকে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে নির্মিত নান্দনিক এ সড়ক পথের শেষ সময়ে চলছে প্রস্তুতি। সেপটেম্বরে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানের চিরচেনা অসহনীয় যানজট থেকে মুক্তি দিতে সেপ্টেম্বরেই চালু হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। মুহূর্তে চলাচল করা যাবে ফার্মগেট থেকে তেজগাঁও হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত।

 

এ ছড়া অক্টোবরেই বিআরটি প্রকল্পের আংশিকভাবে চালুর কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। যা দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটাবে। নিশ্চিত করবে ঢাকা-গাজীপুর পথে চলার স্বাচ্ছন্দ্য।

১৪ লেনের পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে।

তবে রাজধানীবাসীর সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ অক্টোবরের শেষেই মেট্রোরেল পৌঁছাবে মতিঝিল পর্যন্ত। দুই মাসের মধ্যে এই মেগা প্রকল্পগুলো চালু হলে শহরের যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হাওয়ার পাশপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত বিশেষজ্ঞদের।

তবে প্রকল্পগুলোর দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা নিতে হলে সঠিক ব্যবস্থাপনায় জোর দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, মেট্রোরেল বাদে বাকি প্রকল্পের সুফল পেতে গুরুত্ব দিতে হবে ট্রাফিক ব্যবস্থপনায়। বিশেষ করে এক্সপ্রেসওয়ের ওঠানামার স্থানে ঢেলে সাজাতে হবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।

 

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, এ প্রকল্পগুলো গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে। বিশেষ করে যোগাযোগ ও পরিবহন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তবে এই যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৩২টি র‌্যাম সড়কের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করবে, এই র‌্যামগুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা দরকার। কারণ এই র‌্যামগুলোতে যানজটের একটা শঙ্কা থেকেই যায়।

আরোও খবর জঙ্গি আস্তানায় রাতভর অভিযান, আটক ৯

গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘যানবাহন চলাচলের জন্য যে অবকাঠামো দরকার, ঢাকায় সেটার খুবই অভাব রয়েছে। মেগা প্রকল্পগুলো চালু হলে অবশ্যই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। তবে এর সুফল পেতে হলে ট্রাফিকের ক্ষেত্রে অটোমেশন দরকার। এতে করে খুব তাড়াতাড়ি গাড়িগুলো ডিসপাস হতে পারবে। এ ছাড়া গাড়ি ওঠার সময়ও যেন লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়, সেটার ব্যবস্থাপনা দরকার।’

 

এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, নগরের ফুটপাত দখলমুক্ত করা, ফিটনেসবিহীন যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেই অনেকটা সহজ হবে রাজধানীবাসীর জীবনমান।সূত্র:টিবিএন৭১।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪