ই-পেপার | বুধবার , ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রামুতে বাঘখালী বিট কর্মকর্তার অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :

রামু বাঘখালী বিট অফিসার কুদ্দুসুর রহমান ও বনপ্রহরী নুরুল আলমের ঘুষ-দুর্নীতি অনিময় স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামু বাঘখালী বিট অফিসার কুদ্দুসর রহমান ও বনপ্রহরী নুরুল আলম যোগদানের পর থেকে এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। উক্ত বিট কর্মকর্তা ও বন প্রহরীর অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যের কারণে সংরক্ষিত ওই এলাকায় অবাধে গাছপালা কাটায় জীববৈচিত্র্যের অভয়াশ্রম হুমকির মুখে পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন রামু বাঘখালী রেঞ্জের অধীনে সমৃদ্ধ বন থেকে কাঠ পাচার, পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ, বনের অভ্যন্তরে তামাক চাষসহ ইত্যাদি অবৈধ কর্মকান্ডে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে রামু বাঘখালী বিট অফিসার কুদ্দুসুর রহমান ও বনপ্রহরী নুরুল আলম এর বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, রামু বাঘখালী বিট অফিসার কুদ্দুসুর রহমান ও বনপ্রহরী নুরুল আলমের নেতৃত্বে বাঘখালী রেঞ্জের কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ভিলেজার পাড়া, মহেশকুম, উখিয়ার ঘোনা, মনিরঝিল, সোনাইছড়ি, নাপিতের চর, মৌলভী কাটাসহ বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে মোটা অংকের অৎকোচের বিনিময়ে ঘর নির্মাণ, প্রতি কানি ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বনের অভ‍্যন্তরে তামাক চাষে সহযোগিতা প্রদান, বন থেকে কাঠ ও জ্বালানী কাঠ পাচার করছে আসাধু চক্র। এছাড়া উক্ত রেঞ্জের মৌলভী কাটায় ২০০৭-৮ সনের সৃজিত সামাজিক বনায়নে নিলাম কৃত আকাশমনির গাছের আড়ালে ঘুষ নিয়ে নিয়ম বহির্ভূত গর্জন ও ইউক্লিপটাস (বাম) গাছে সরকারি হেমার লাগিয়ে কাঠ ব্যবসায়ীদের কে কাঠ পাচারের সহযোগিতা করছে।

এছাড়াও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মহিষকুম ব্রীজের পৃর্ব পাশে পাহাড় কেটে দালান বাড়ি ও তামাকের চুল্লি ব‍্যবহারের জন‍্য ঘর নির্মান করেছে। মোটা অংকের অৎকোচের বিনিময়ে সেই দালান তামাকের চুল্লির ঘর নির্মানে সহায়তা করছে বলে বাঘখালী বিট অফিসার কুদ্দুসুর রহমান ও বনপ্রহরী নুরুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ উঠেছে, বন বিভাগের লোকজন সংরক্ষিত বন থেকে কাঠ পাচার, তামাক চাষ এবং অবৈধ বসতি নির্মাণসহ ইত্যাদি অবৈধ কর্মকাণ্ডে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে সুযোগ করে দিচ্ছেন। ফলে একদিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল যেমন বৃক্ষশূণ্য হয়ে ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হচ্ছে, অপরদিকে সংরক্ষিত বনভূমিও দিন দিন অবৈধ দখলদারদের অধিনে চলে যাচ্ছে।

রামু বাঘখালী বিট অফিসার কুদ্দুসুর রহমান ও বনপ্রহরী নুরুল আলমের ব‍্যাপারে গোপনে যদি বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে এবিষয়ে বাঘখালী বিট অফিসার কুদ্দুসুর রহমান ও বনপ্রহরী নুরুল আলমের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।