ই-পেপার | শনিবার , ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টিআইএনধারীদের বাধ্যতামূলক কর প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

টিআইনধারীদের বাধ্যতামূলকভাবে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করের প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছে সরকার। টিআইএনধারীদের কর প্রত্যাহারের পাশাপাশি আরও কয়েকটি প্রস্তাবে সংশোধনী এনে রোববার সংসদে অর্থবিল ২০২৩ পাস হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি হয়।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বল পয়েন্ট কলমের উপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।

বলপয়েন্ট কলমের উপর বিদ্যমান ৫ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ যুক্ত করে বাজেটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে, বিলটি পাসের সময় নতুন প্রস্তাবিত ওই ১০ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বলপয়ন্টে ভ্যাট আগের মতো পাঁচ শতাংশই থাকছে।

বাজেটের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সমাপনী বক্তব্যের পর অর্থবিল-২০২৩ সংসদে পাসের জন্য উত্থাপন করা হয়।

এর আগে বিলটির পর সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ফখরুল ইমাম, মুজিবুল হক চুন্নু, রুস্তম আলী ফরাজী, রওশন আরা মান্নান, কাজী ফিরোজ রশীদ, রেজাউল করিম, শহীদুজ্জামান সরকার বক্তব্য দেন। এ সময় তারা ব্যাংক খাতের অরাজকতা, কালো টাকা সাদা করা, অর্থ পাচার, আর্থিক খাতের নৈরাজ্য নিয়ে বক্তব্য দেন। অর্থবিল-২০২৩ এর ওপর এই সংসদ সদস্যদের আনা জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের আশপাশের অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। আমাদের অর্থনীতি ভাল আছে। আপনারা আমাদের বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তাদের জন্য বলি- আমাদের বর্তমান বৈদেশিক ঋণ জিডিপির মাত্র ৩৪ শতাংশ। এটা অন্য দেশের ২৬১ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে। ফলে বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে আমাদের কোন ঝুঁকি নেই। আমরা ভাল অবস্থানে আছি।

অর্থবিল পাসের সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করে বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী যখনই বলেন জিনিসপত্রের দাম কমাবেন পর দিনই বেড়ে যায়। বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেটে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নও তুলেন তিনি।

চুন্নু বলেন, বাজারে একটু নিয়ন্ত্রণ দেন, বাণিজ্যমন্ত্রী, উনি যখনই বলে জিনিসপত্রের দাম কমাবেন, পর দিনই বেড়ে যায়। এটা কোনটা, সিন্ডিকেট, উনি কি সিন্ডিকেটে জড়িত কি না বিষয়টা দেখেন। কারণ উনি যখনই বলেন কমাবেন, কন্ট্রোল করবেন তখনই দাম বেড়ে যায়। আসলে বাজারে নিয়ন্ত্রণটা লাগবে, নিয়ন্ত্রণ নাই।

জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সরকার বিশাল ঘাটতির বাজেট করেছে। এ বিশাল ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকারকে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিতে হবে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা চাপিয়ে দেবে, ওই টাকা ব্যাংক থেকে সরকারকে দেবে।

টাকা ছাপানো হলে দুটি জিনিস হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার টাকা নিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঋণ পাবে না। কর্মসংস্থান হবে না। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪