নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজের মোকাম শৈলকুপা। এক দিনে এ মোকামে অন্তত ৪০ হাজার মণ পেঁয়াজ কেনাবেচা হয়েছে। মঙ্গলবার ছিল শৈলকুপা হাট। ভোর হতে না হতেই চাষিরা ভ্যান, আলমসাধু বোঝাই পেঁয়াজ হাটে নিয়ে আসে।
হাটে প্রবেশের প্রতিটি পথে পেঁয়াজ বোঝাই যানের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। সৃষ্ট হয় যানজটের। দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। পেঁয়াজের দামও পড়ে যায়। প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা দরে। পাইকারি প্রতি কেজির দাম ৫০ টাকাতে নেমে আসে। খুচরা বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬০ টাকা। স্বস্তি পায় ভোক্তা। মাস খানেক আগে খুচরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে কিনতে হয়।
পেঁয়াজের বড় ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার শৈলকুপা থেকে অন্তত ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ দেশের বড় বড় শহরে চালান যায়। এছাড়াও প্রায় ১৫০ আলমসাধু পেঁয়াজ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান নিয়ে যায়।
ট্রাক বন্দোবস্তকারি শ্রমিক কুড়োন সাহা জানান, মঙ্গলবার অন্তত ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান যায়। প্রতি ট্রাকে ৩৭৫ মণ পেঁয়াজ লোড দেওয়া হয়। এছাড়াও কয়েক শ আলমসাধু ও ভ্যান পেঁয়াজ নিয়ে স্বল্প দূরত্বের হাটবাজারে চালান নিয়ে যায়। চাষিরা জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমে যাবে এ শঙ্কায় বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ হাটে উঠায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজগর আলি বলেন, চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহ জেলায় ১০ হাজার ১৩০ হেক্টরে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে শৈলকুপা উপজেলাতে ৮ হাজার ৫৮৫ হেক্টরে চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় পেঁয়াজ ভালো হয়েছে।