ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঈদগাঁওতে বনবিভাগের কোটি টাকা মূল্যের জায়গার উপর বহুতল অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

 

ঈদগাঁও প্রতিনিধি।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেহেরঘোনা রেঞ্জের নাকের ডগায় কোটি টাকা মূল্যের বনবিভাগের জায়গার উপর দিনরাত স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছে।বনবিভাগের রহস্যময় আচরণে একটি প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় জন ও পরিবেশ বিধ্বংসী এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছ মেহেরঘোনা রেঞ্জের অধীন মহাসড়কের ঈদগাঁ কলেজ গেইট সংলগ্ন এলাকায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিগত কদিন ধরে স্থানীয় একটি চক্র মেহেরঘোনা রেঞ্জের অধীন মহাসড়ক সংলগ্ন কোটি টাকা মূল্যের বনবিভাগের এ জায়গাটির চারপাশে টিনের ঘেরাবেড়ার আড়ালে অর্ধশতাধিক শ্রমিক দিয়ে দিনরাত অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে।

মেহেরঘোনা রেঞ্জ কার্যালয়ের নাকের ডগায় এ নির্মাণ কাজ চলতে থাকলেও রহস্যজনক ভাবে স্থানীয় বনবিভাগকে এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। জায়গাটির অবস্থান মহাসড়ক ও ঈদগাঁও কলেজ গেইট সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে হওয়ায় এর মুল্য আনুমানিক কোটি টাকার উপরে হতে পারে বলে ধারণা করছে সচেতন মহল।

কিন্তু স্থানীয় বনবিভাগের চলাফেরা দিনরাত এ জায়গার ২০ গজের মধ্যে হওয়ার পরও কিভাবে চক্রটি এ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ উৎসব চালিয়ে যাচ্ছে তা জনমনে বিরুপ প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। তাহলে কি স্থানীয় বনবিভাগ এ চক্রটি দ্বারা ম্যানেজড্! গণমাধ্যম কর্মীরা সরেজমিনে গেলে একটি দালাল চক্র তাদের নানা কায়দায় ম্যানেজের চেষ্টা করে। যাতে পত্রিকায় সংবাদ ছাপানো না হয়।

স্থানীয় কয়েকজন লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,জায়গাটি মহাসড়কের পাশে এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হওয়ায় ইতিপূর্বে একটি চক্র অপর একটি দখলদারের কাছ থেকে বিশেষ দালাল চক্রের মধ্যস্থতায় বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দখলিস্বত্ব ক্রয় করে। বর্তমানে একই দালাল চক্রটির মধ্যস্থতায় সিন্ডিকেটটি স্থানীয় বনবিভাগকে ম্যানেজ করে এ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন।

এর পেছনে প্রভাবশালী একটি পক্ষও কাজ করছে। এসব পক্ষের সাথে নির্মাণ সিন্ডিকেটের বিশাল অংকের অনৈতিক লেনদেন হওয়ায় স্থানীয় বনবিভাগ দেখেও না দেখার ভান করে আছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

তাদের আরো অভিযোগ, মাথা গুজার ঠাই নেই এমন নিস্ব কোন লোক যদি বনবিভাগের জায়গায় একটি ঝুপড়ি ঘরও তৈরির চেষ্টা করে, তখন এসব বনকর্মকর্তারা তা মুহুর্তেই গুড়িয়ে দেয় বারবার। তাদের এ ভুমিকায় মনে হয় বন আইন শুধু গরীব-দিন মজুর শ্রেণির জন্য।

এদিকে বন বিভাগের জায়গার উপর বিশাল এ সিন্ডিকেটের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ উ ৎসব চললেও এসব অসাধু কর্মকর্তারা যেন কালো চশমা পরে সরকারি বনসম্পদ রক্ষার পরিবর্তনের নামে নিজের আঁখের গোছানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ইতিমধ্যে এরকম কতিপয় কর্মকর্তার কারণে সংশ্লিষ্ট বনবিভাগের অধীন মহাসড়ক সংলগ্ন হাজারো কোটি টাকার সরকারি জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে নির্মিতব্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও রক্ষক রুপি ভক্ষক বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সরেজমিনে পরিদর্শন দাবি করেছেন।

ঈদগাঁও মেহেরঘোনা বিট কর্মকর্তা ফিরোজ রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলে দায় সারেন। তবে মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা ও এসিএফের মোবাইলে বারবার কল করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।