
আন্তজার্তিক ডেস্ক :
পাকিস্তনের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিয়ে আবার দেশটিতে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি তোষাখানা মামলায় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি। কিন্তু সেখান থেকে সাংবাদিকদের বলেছেন, আলোচনার জন্য ‘প্রস্তুত’ তিনি। তার এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বলাবলি হচ্ছে, ইমরান খান কি তবে এস্টাবলিশমেন্টের চাপের কাছে নত হয়েছেন! খবর জিও নিউজের।
কয়েক মাস জেলে থাকার পর পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান শুক্রবার বলেন, গত ১৯ মাস ধরে আমি বলে আসছি আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি। আমি একজন রাজনীতিক। তাই আমি আলোচনার দুয়ার খোলা রেখেছি। সংলাপের জন্য আমরা উন্মুক্ত।
ইমরান খানকে ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা থেকে উত্খাত করা হয়। আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইমরানের দলের জন্য একের পর এক ধাক্কা আসছে। প্রথমত, গত বছর মে মাসে তাকে জেলে নেওয়া হয়। এরপর তার দল পিটিআই থেকে দলে দলে নেতারা সরে যেতে থাকেন। বাকি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হতে থাকে। পরে এ মাসে নির্বাচন কমিশন তার দলের নির্বাচনি প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট বাতিল করে। এ অবস্থায় পিটিআই-নাজরিয়াতির সঙ্গে তারা জোট করার চেষ্টা করে। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।
একের পর এক বাধা আসতে থাকে পিটিআইয়ের সামনে। তারা যখন এসব বাধার বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন বড় প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) পুরোদমে দেশ জুড়ে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছে। তারা জাতীয় এবং প্রাদেশিক পর্যায়ে নির্বাচনি টিকিট বিতরণ করছে। কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের দিকে লক্ষ্য স্থির করেছে পিপিপি এবং পিএমএলএন।
পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, এখন নির্বাচন হচ্ছে শুধু দুটি দলের মধ্যে। কারণ, নির্বাচন থেকে আউট হয়ে গেছে পিটিআই। কারণ, পিটিআইয়ের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্বতন্ত্রভাবে।
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইমরান খান বলেছেন, এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে একটি নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি আরো বলেন, আমার সবচেয়ে বড় ভুল ছিল একটি দুর্বল সরকারকে মেনে নেওয়া। একটি দুর্বল সরকারের পরিবর্তে আমার উচিত আবার নির্বাচন করা।