ই-পেপার | শনিবার , ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শক্তি বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ের’, গতিপথে সামান্য পরিবর্তন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,সিএনএন বাংলা২৪

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ গতিপথ সামান্য পরিবর্তন করেছে। আর এ ঝড়টি পাকিস্তান ও ভারতের উপকূলে প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর।

শুক্রবার (৯ জুন) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে সংস্থাটি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি ধরে রেখে, কিছুটা দিক পরিবর্তন করে সর্বশেষ ১২ ঘণ্টায় ধীরগতিতে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরেছে। বর্তমানে ঝড়টি ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে এবং ৬৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি পূর্ব দাঘ্রিমাংশে এবং করাচি শহরের দক্ষিণ দিক থেকে ১ হাজার ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

ঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার এবং ‍মূলকেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার।

এছাড়া আবহাওয়ার যে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিরাজ করছে সেটি ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি আরও বাড়ার ক্ষেত্রে আদর্শিক বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, উপরিভাগের বাতাসের পরিবর্তনের কারণে, ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ বলছেন ঝড়টি ওমান-পাকিস্তানের পূর্ব উপকূলের দিকে যাবে। আবার কেউ বলছেন ঝড়টি আসবে ভারতের গুজরাট এবং পাকিস্তানের সিন্ধ উপকূলে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টির ওপর তারা নজর রাখছেন।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব

ঘূর্ণিঝড়টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আগামী ১২ জুন সোমবার থেকে জেলেদের মাঝসমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উপকূলীয় উঁচু ঢেউয়ের কারণে সাগরের পরিস্থিতি খারাপ বা খুবই খারাপ হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আগামী ১৩ জুন রাত থেকে ১৪ জুন সকাল পর্যন্ত সিন্ধ-মাকরান উপকূলে বজ্রবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বইতে পারে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২৫ থেকে ২৮ ফুট উচ্চতার ঢেউয়ের সৃষ্টি হতে পারে।

সূত্র: জিও নিউজ

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: