ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘বাবা বেঁচে থাকলে এই ব্রাজিল দলকে দেখে খুব কষ্ট পেতেন’

স্পোর্টস ডেস্ক :
সময়টা ভালো যাচ্ছে না পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের। ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই না করার শঙ্কায় রয়েছে দলটি।

এমন পরিস্থিতি দেখলে খুব কষ্ট পেতেন পেলে, এমনটাই বলছেন তার ছেলে এদিনহো।
ব্রাজিল দল নিজেদের দেশের মাটিতে ২০১৪ বিশ্বকাপে বেলো হরিজন্টোতে জার্মানির কাছে হারে ৭-১ গোলে লজ্জার হার। ২০১৮, ২০২২ বিশ্বকাপেও ব্যর্থতা সঙ্গী হয়েছে তাদের। গত কোপা আমেরিকাতেও তারা ফাইনালে হেরেছে আর্জেন্টার কাছে। এমনকি ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দক্ষিণ আমেরিকা পর্বে তারা রয়েছে ছয় নম্বর পজিশনে। অর্থাৎ এই পজিশনে থাকলে তাদের ইতিহাসে প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না ব্রাজিল।

কিছুদিন আগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারশন (সিবিএফ)-এর প্রেসিডেন্ট পদ থেকে এদনালদো রদ্রিগেসকে অপসারণ করার নির্দেশ দেন রিও দি জেনেরিওর আদালত। কিন্তু ফিফার আইন অনুযায়ী, এটা অ্যাসোসিয়েশনে বাইরের হস্তক্ষেপ। এ কারণে ব্রাজিল জাতীয় দল ও ক্লাবগুলোকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আর এসব দেখেই বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি পেলের পুত্র এদিনহো পেলে বলেছেন, ‘বাবা বেঁচে থাকলে এই ব্রাজিল দলকে দেখে খুব কষ্ট পেতেন। ’সেলেসাওরা তাদের এই মুহূর্তে সেরা ফুটবলার নেইমার জুনিয়রকে ছাড়া ঠিকভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না। নেইমারের অনুপস্থিতি তাদের পারফরম্যান্সে বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে। দলের সার্বিক পারফরম্যান্সও ঠেকেছে তলানিতে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পেলের সাত সন্তানের অন্যতম ৫৩ বছর বয়সী এডিনহো পেলে বলেছেন, ‘এমন অবস্থা (খারাপ) রাতারাতি হয়নি। ধীরে ধীরে খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়েছে দল। এ মুহূর্তে সমস্যা বড় আকার ধারণ করেছে। ফুটবল খেলুড়ে দেশ হিসেবে আমরা এই মুহূর্তে অবনতির সাক্ষী হয়ে রয়েছি। আমাদের এরপরেও অন্যতম সেরা তারকারা রয়েছে। তবে আগের কথা বলতে গেলে, একটা কথাই বলতে হয়, আগে যেমন একাধিক শীর্ষ পর্যায়ে ফুটবল খেলার মতন ফুটবলার ছিল, এই মুহূর্তে তার অভাব রয়েছে। ’

তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমি একটা কথাই বলব এই মুহূর্তে যদি পেলে বেঁচে থাকতেন, তাহলে খুব কষ্ট পেতেন। প্রিয় দলের এমন অবস্থা তিনি সহ্য করতে পারতেন না। ’ পেলের ছেলে তার বাবার প্রিয় ক্লাব সান্তোসের ব্রাজিলের প্রথম ডিভিশন থেকে অবনমন প্রসঙ্গে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এভাবে (প্রথম ডিভিশন থেকে) নেমে যাওয়াটা আমাকে একেবারেই হতাশ করেনি। এতে বিস্মিত হওয়ারও কিছু নেই। কারণ অনেকদিন ধরেই সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। যা এখন বড় আকার ধারণ করেছে। যারা ক্লাবকে দীর্ঘ দিন ধরে দেখছে, প্রতিনিয়ত দেখছে, তাদের কাছে এটা আন্দাজ করাটা একেবারেই বড় ব্যাপার ছিল না। ’

আগামী শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) পেলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। সেই দিন তার জীবিত ছয় সন্তান একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের বাবার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি দেবেন।