ই-পেপার | বুধবার , ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার ইসি-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা :
দেশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

তিনি বলেন, ‘১৮ জানুয়ারি থেকে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ইসির অনুরোধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফরমান জারি করেছেন। ইসি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জরুরি অবস্থা জারি করার এখতিয়ার রাখেন না। এই এখতিয়ার কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতির।’

বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে পতাকা র‌্যালিপূর্ব জমায়েতে এসব কথা বলেন তিনি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘সভা-সমাবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত দেশবাসী মানে না। বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিলে দেশে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সরকার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’

দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছর পরও দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণ হয়নি। শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ হলেও এখন সবক্ষেত্রে চরম বৈষম্য চলছে। দেশবাসী একটি লাল-সবুজ পতাকা ছাড়া আর কিছুই পায়নি।

দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘দলকানা নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দোহাই দিয়ে ধর্মীয় সভা, ওয়াজ মাহফিলও বন্ধের চক্রান্ত করছে। বিজয় মানেই আনন্দ। আজ বিজয়ের আনন্দ জনগণের মধ্যে নেই।’

সভাপতির বক্তব্যে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ বলেন, ‘সরকার মুক্তিযুদ্ধে চেতনার নামে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সর্বত্র দলীয়করণ করেছে। ৫৩ বছরে মানুষ ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পায়নি। এখনো রাজপথে রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবি জানাতে হচ্ছে।’

 

এতে কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। পরে বিজয় র‍্যালির আয়োজন করে দলটি। র‍্যালিটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিজয়নগর, নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে হয়ে আবারও বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে শেষ হয়।

বিজয়ের ৫৩ বছর উদযাপন উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী এই কর্মসূচি পালন করে। এসময় একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, রাজবন্দিদের মুক্তি, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।