ই-পেপার | সোমবার , ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবরোধে কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসায় ধস, শতাধিক রেস্তোরাঁ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :

বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর চলমান অবরোধের প্রভাবে কক্সবাজার পর্যটন ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত একমাস ধরে লোকসান গুনছেন কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস ও রেস্টুরেন্ট মালিকেরা। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে লাভের মুখ দেখতে না পারায় হতাশ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।

 

জানা গেছে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতকে ঘিরে কক্সবাজারে গড়ে উঠেছে সাড়ে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস ও দেড় শতাধিক রেস্টুরেন্ট। কিন্তু দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কক্সবাজার এখন পর্যটকশূন্য। ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া খরচ পোষাতে না পেরে কর্মচারী ছাঁটাই ও হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউসগুলো বন্ধ হতে বসেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্যবসায় লোকসানের মাত্রা বহু গুণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। হোটেল রেন বিউ’র পরিচালক মুকিম খান বলেন, টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটক রাজধানী হিসেবে খ্যাত কক্সবাজারে এখন পর্যটকশূন্য। ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক রেস্টুরেন্ট। ইতোমধ্যে আমাদের কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

 

আল মদিনা হোটেলের মালিক আলমগীর বলেন, হরতাল অবরোধের প্রভাবে পর্যটক নেই। পর্যটক না থাকায় আমাদের খাবার হোটেলে বেচাকেনা না থাকায় কর্মচারীদের বেতনও দিতে পারছি না। দোকান ভাড়াও বেশি। তাই দোকান বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। নভেম্বর থেকে পর্যটক মৌসুম শুরু। বছরের মধ্যে ৩ মাস ব্যবসা হয়। আরিফ নামে এক খাবার রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, টানা হরতাল-অবরোধে বিপর্যস্ত পর্যটন খাত, বন্ধ রেখেও ক্ষতি রোধ করা যাচ্ছে না। এভাবেই চলতে থাকলে চেয়ার-টেবিল বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই।

তারকা মানের হোটেল রয়েল টিউলিপের এজিএম নাভেদ চৌধুরী বলেন, হরতাল ও অবরোধের কারণে বুকিং শূন্য। যেসব পর্যটকরা আগাম বুকিং দিয়েছিল তারাও বাতিল করছেন। টানা হরতাল-অবরোধের কারণে জেলার পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ফাঁকা বলে জানালেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম নেওয়াজ।

 

কক্সবাজার চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের সভাপতি আবু মোরশেদ বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কক্সবাজার এখন পর্যটকশূন্য। ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া খরচ পোষাতে না পেরে কর্মচারী ছাঁটাই হচ্ছে। ইতিমধ্যে হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পর্যটক খাতে।