
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেছেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সরিয়ে দেওয়া দরকার। সে সময় এসে গেছে।
কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। মাইক্রোব্লগিং সাইক এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইয়ার লাপিদ এ কথা বলেন। তিনি লিখেছেন, রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে আমাদের জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। লিকুদ পার্টি এ নেতৃত্ব দেবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার অতি জাতীয়তাবাদী এবং অতি-ডানপন্থি মন্ত্রিসভাকে সরিয়ে দিতে হবে। এখন সে সময় এসেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও জনসাধারণ দেশের স্বাভাবিক অবস্থার প্রত্যাবর্তন চাচ্ছে। কিন্তু দেশের জোট সরকার দুর্বল, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী। ইসরায়েলের সরকার পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু ইয়ার লাপিদ এ কার্যক্রমের পক্ষে নন। এক্সে দেওয়া পোস্টে নির্বাচনের কথা উল্লেখ না করলে তিনি লিখেছেন, আমি কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি, এটি সময় নয়। আমরা ৪০ দিন অপেক্ষা করেছি, আর সময় নেই। আমাদের এখন এমন সরকার দরকার যেটি নিরাপত্তা ও অর্থনীতি ছাড়া আর কিছুই মোকাবিলা করবে না। আগামী বছরে আরেকটি নির্বাচনের সামর্থ্য আমাদের নেই।
লাপিদের এমন মন্তব্য ইসরায়েলের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধের সর্বশেষ লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কণ্টকাকীর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে হামাসের হামলা ও নেতানিয়াহুর ব্যর্থতার জন্য কোনো দায় নেওয়ার বিষয়কে ভাবা হচ্ছে। লিকুদ পার্টি ছাড়া ইসরায়েলের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, চলমান দ্বন্দ্ব শেষ হলে বিষয়টি মোকাবিলা করা উচিত।
এদিকে, ইয়ার লাপিদের পোস্ট নিয়ে তাকে ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সাবেক এ প্রধান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বদলানো আহ্বান ‘পাগলামোর চেয়ে কম কিছু নয়’। উল্লেখ্য, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য জরুরি ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করেছে ইসরায়েল। সরকারে ইয়ার লাপিদকে যোগ দিতেও আহ্বান জানান নেতানিয়াহু। কিন্তু রাজি হননি লাপিদ। তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধকালীন সরকারে যদি অতি জাতীয়তাবাদী এবং অতি-ডানপন্থি কেউ থাকে তিনি যোগ দেবেন না। এখন পর্যন্ত নিজের কথা ধরে রেখেছেন ইসরায়েলের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।