ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১০ আঞ্চলিক পর্যায়ে ভোটের উপকরণ পাঠাচ্ছে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক ,ঢাকা:

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১০টি আঞ্চলিক পর্যায়ে নির্বাচনী উপকরণ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন।এক্ষেত্রে ব্যালট বাক্স, ব্যাগ ও গালা পাঠানোর মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

 

অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বিএসটিআই রিপোর্ট এখন এসে পৌঁছায়নি। রিপোর্টটা তৈরি হয়েছে শুনেছি। যদি বিএসটিআই রিপোর্ট আজকের মধ্যে আসে তাহলে আজ থেকে ঢাকা অঞ্চলে আমরা পাঠাবো। আমরা প্রথম লটে ৪০ হাজার বক্স পেয়েছি। মোট ৮০ হাজার বক্স এবার কিনেছি। এর মধ্যে ৪০ হাজার সাপ্লাই পেয়েছি। এখান থেকে বিতরণ শুরু করছি।

 

তিনি বলেন, এবার আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রতিটি নির্বাচনী সামগ্রী পাওয়ার পর আবার টেস্টে দেওয়া হবে। এই টেস্টে আমরা যদি সন্তুষ্ট হই তাহলে আমরা সেটি মাঠ পর্যায় পাঠাবো। আগে টেস্ট যেহেতু বিএসটিআই করেছে, এবারও বিএসটিআই করবে। শুধু ব্যালট বাক্স। অন্য সামগ্রী সামনের সপ্তাহ থেকে যাওয়া শুরু করবে। আজকে থেকে যেগুলো যেতে পারে সেই সরঞ্জামগুলোর মধ্যে ব্যালট বাক্স, ব্যালট বাক্সের ঢাকনা, দুই ধরনের ব্যাগ, গালা রয়েছে।নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যবারের মতো এবারও আমরা নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানোর সময় পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেবো। নিরাপত্তার জন্য বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকেই সহায়তা চাইবো। সামগ্রীগুলো মাঠ পর্যায়ের পরিবহনের সময় তারা যথাযথ নিরাপত্তা দেবে। এবার তিন লাখের ওপর ব্যালট বাক্স লাগবে। পুরোনো ব্যালট বাক্স রয়েছে দুই লাখ ৬৭ হাজার। আমরা ৮০ হাজার কিনেছি।

 

আরেক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমাদের নির্বাচনী অঞ্চল হলো ১০টা। আটটি প্রশাসনিক বিভাগ ও ফরিদপুর এবং কুমিল্লা। আমরা এটাকে অঞ্চল হিসেবে ধরি। ব্যালট বাক্সগুলো অঞ্চলে যাচ্ছে। অন্যান্য মালামাল সরাসরি জেলায় যাবে। নির্বাচনী বাজেট নিয়ে বলেন, নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুইটা মিলে বাজেট হবে। বাজেটটা এখনও ফাইনাল হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমরা সামনে একটা মিটিং করবো। তারপরে বাজেটটা ফাইনাল হবে। ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরে ভোটের তফসিল দেওয়া হবে। আর ভোটগ্রহণ হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।

 

আমির, সিএনএনবাংলা২৪