সিএনএন বাংলা ডেস্ক:
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত চার্জশিট আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে এ মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নেন। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। বাবুল আক্তারের আইনজীবী শিশির মনির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে স্ত্রী হত্যার আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, প্রবাসী সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধানমন্ডি থানায় এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও আব্দুল অয়াদুদ মিয়া। মামলায় অজ্ঞাত আসামিদেরকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে- খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করছেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া, হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছে।
এর আগে পিবিআই হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। ‘স্বীকারোক্তি আদায়ে’ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর এই আবেদন করেছিলেন তিনি। পরে ১১ সেপ্টেম্বর একই আদালতে ফেনী কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন বাবুল। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই।
নুর মোহাম্মদ, সিএনএন বাংলা২৪