ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেশের মানুষ একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার চায় –নেজামে ইসলাম পার্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

“বহুমূখী সংকটে বাংলাদেশ: উত্তরণ কোন পথে” শীর্ষক এক আলোচনা সভা জাতীয় প্রেসক্লাবে রবিবার (২৩ জুলাই) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির এ সভার আয়োজন করেন।

 

বর্তমান বাংলাদেশ একটি চরম ক্রান্তিকাল পার করছে। ক্ষমতাসীন সরকারের  দুঃশাসনের নাগপাশ থেকে মুক্তির অপেক্ষায় ছটফট করছে দেশের মানুষ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার হরণ, ধর্ম পালনের স্বাধীনতা সঙ্কুচিতকরণ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও মতপ্রকাশের অধিকার দলন, উন্নয়নের আড়ালে জনগণের অর্থসম্পদ লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতি, সীমাহীন অর্থপাচার, রিজার্ভ নয়-ছয়, বিদ্যুত খাতে ভয়াবহ লুটেরা মডেল চালুসহ এমন বহু অপকর্মের মাধ্যমে দেশে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। শুধু তা-ই নয়, প্রতিবাদী আলেম-ওলামাকে জেল-জুলুম ও মামলার পর মামলা দিয়ে নিষ্পেষিত করা হচ্ছে।  এই পরিস্থিতি থেকে দেশের জনগণ মুক্তি চায়।দেশের মানুষ এখন সুষ্ঠু ভোটে নির্বাচিত একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার চায়। আলোচনা সভায় দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর আল্লামা ছরওয়ার কামাল আজিজী এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা করেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী।

বহুমূখী সংকটে বাংলাদেশ: উত্তরণ কোন পথে” শীর্ষক আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজত নেতা মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মুফতী জসীম উদ্দিন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ড. খলিলুর রহমান মাদানী, নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল খালেক নিজামী, মুফতী মুহাম্মদ আলী,  যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী, আন্যন্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা করেন, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা আবু তাহের খান, মাওলানা ইনামুল হক কুতুবী, আলহাজ্ব আনোয়ারুল কবির, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসউদ খান, মুফতী দ্বীনে আলম হারুনী, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা মুসাদ্দিকুল মাওলা, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ আনোয়ারী, মাওলানা আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মুফতী সানাউল্লাহ খান, ইনামুল হাসান ফারুকী, মনজুরুল হাসান নাদিম, ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি এহতেশামুল হক সাখী প্রমুখ। কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান এর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

তারা বলেন, দেশ চলছে ‘ডিজিটাল’ ভোট চোর ও ‘স্মার্ট’ ডাকাতদের রাজত্ব। এদেশে নাগরিকদের ভোটাধিকার হাইজ্যাক করা হয়েছে। জুলুম, জবরদস্তি ও ভোট ডাকাতি করে দিনের নির্বাচন রাতে করাটা ক্ষমতাসীন রাজনীতির অবৈধ শক্তির ভিত্তিতে পরিণত হয়েছে। দেশবাসীর চোখে চোখ রেখে মিথ্যা ভাষণ, ভুয়া বক্তব্য ও উন্নয়নের মিথ্যা ফানুস উড়ানোর এক ভয়ঙ্কর অপরাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করেছে শাসকরা। এর বিরুদ্ধে দেশের সকল ইনসাফকামী মানুষ একজোট হয়ে প্রতিবাদে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।

জাতীয় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মাওলানা মামুনুল হকসহ মুক্তি পাননি এমন আরো অনেক প্রতিবাদী আলেম এখনো বিনা বিচারে মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় কারাগারে ধুঁকছেন এবং তাদেরকে নানারকম হয়রানি ও অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটছে। অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করার অধিকার আলেমদের থেকেও কেড়ে নেয়া হয়েছে। আজ প্রতিটি বন্দি আলেমের মুক্তির দাবি গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা অবিলম্বে কারাবন্দি সকল আলেমের মুক্তি চাই। আইন-আদালতকে নিপীড়নের হাতিয়ার বানানো হয়েছে। কারাগারের বাইরেও পুরো ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের একটি স্বাধীন ভূমিকেও আজ কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। এই দমবন্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারের কোনো বিকল্প নেই ।

 

নুর মোহাম্মদ, সিএনএন বাংলা২৪