সিএনএন বাংলা২৪:
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধিদলটি কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তিকে উদ্দীপ্ত করতে ঢাকায় আসেননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক করেন আসাদুজ্জামান খান।
বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী দাবি করেন, তারা বারবার বলেছেন, তারা কোনো দল কিংবা ব্যক্তিকে সমর্থন করতে এখানে আসেননি।
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে আন্দোলন করছে। এ বিষয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেটি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি। প্রসঙ্গই আসেনি। তারা এতটুকু বলেছেন, তারা কোনো দলকে এনকারেজ (উদ্দীপ্ত) করতে এখানে আসেননি। তারা কোনো দলকে সমর্থন করেন না। তারা এসেছেন, এখানে যাতে সহিংসতামুক্ত ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়। এর বাইরে তারা কিছু চাচ্ছেন না, কিছু বলেনওনি। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, সেটি তারা আমাদের জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তিনি তার ভিশনারি নেতৃত্বে দেশকে সমৃদ্ধের পথে নিয়ে গিয়েছেন, এসব বিষয়ে তারা সন্তুষ্ট। যা আমাদের বলে গিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, তারা আমাদের সঙ্গে অনেক খোলামেলা আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশ এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে তারা অনেক খুশি। গতকাল দেশে দুটি বড় দলের সমাবেশ হয়েছে, তাতে যে সহাবস্থান দেখেছে, সেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশেরও প্রশংসা করেছেন তারা। আগামী নির্বাচনকে তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত দেখতে চান বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশনের অধীনে সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
নির্বাচন কি তারা অংশগ্রহণমূলক চেয়েছেন, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অংশগ্রহণমূলক না, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চেয়েছেন তারা। আমরা বলেছি, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৈরি, তারা সুপ্রশিক্ষত। তাদেরকে আপনারা অনেক কিছু দিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। সেই প্রশিক্ষণে তারা উজ্জীবিত আছে। এরইমধ্যে অনেকগুলো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনও সেই রকম শান্তিপূর্ণ হবে বলে আমরা আশা করি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে র্যাবের বিষয়ে আলোচনার বিষয়টিও নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা হয়েছে। কত তাড়াতাড়ি এ সমস্যার সমাধান করা যায়, সেটি নিয়ে আলাপ হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে যে মানব পাচারকারীরা খেলাধুলা করছে, সেটা যাতে না করতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে আমি তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। তারা বলেছেন, এ ক্ষেত্রে সবসময় তারা আমাদের পাশে আছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা বলেছি, মানব পাচাররোধে আমরা টায়ার থ্রি থেকে টায়ার টুতে এসেছি। এটি তাদেরই মূল্যায়ন। সে জন্য তারা প্রশংসা করেছেন। মোটামুটি আলোচনা হয়েছে ফলপ্রসূ আন্তরিক পরিবেশে।
নুর মোহাম্মদ, সিএনএন বাংলা২৪